সরকারি চাকরির বয়সসীমা না বাড়লে বিশাল সংখ্যক দক্ষ চাকরিজীবীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ৫৯ বছর বয়সে অবসর উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যেতে হবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ থেকে ৭৫ বছর হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মানুষের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা। এসব দক্ষ ও কর্মক্ষম জনবলকে অর্থনীতির মূল স্রোতে রাখা প্রয়োজন।
কারণ সরকার দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও দেশের জন্য তাঁদের কাছ থেকে আরো সেবা নেওয়ার লক্ষ্যে তাঁদের চাকরির বয়স ৬১ বছর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্সের আপিল বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমি মনে করি, ৫৯ বছরের পরও দেশকে সেবা দেওয়ার শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়, বিচারালয়, সরকারি কর্ম-কমিশন (পিএসসি) ও অন্যান্য গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৭ বছর। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারায় প্রজাতন্ত্রে অবসরের বয়স ক্ষেত্রবিশেষে ৬৫ বছর পার হয়ে যায়।
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারছেন। এ পরিস্থিতিতে যৌক্তিকতা বিবেচনা করে গণকর্মচারীদের বয়স আরো এক বছর বাড়িয়ে ৬০ করার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
ড. মো. মোজাহারুল হক, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর