সিলেটের লাক্কাতুরা চা-বাগানে স্থাপন করা নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে চা-বাগানের শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ বিশেষ কোটার দাবি জানিয়েছে চা-বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট শহরতলির পাঁচটি চা-বাগানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সমাবেশ করে এ দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ২০ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সিলেটের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীন সিলেট নগরের উত্তরে লাক্কাতুরা চা-বাগানের ২ একর জমি অধিগ্রহণ করে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে সরকারি বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোগত কাজ শেষে ২০১৭ সাল থেকে বিদ্যালয়টি চালুর কথা রয়েছে।
চা-বাগান এলাকায় প্রথম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার ঘটনায় অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল লাক্কাতুরা, মালনীছড়া ও চৌকিদেখি এলাকায় মিছিল করে চা-বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। পরে লাক্কাতুরা এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়। এতে লাক্কাতুরাসহ আশপাশের পাঁচটি চা-বাগানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সংগঠক অধীর বাউরী। শান্ত বাউরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে পরিষদের সংগঠক সঞ্জয় কান্ত দাশ, রানা বাউরী, মালনিছড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক হৃদেশ মুদি, লাক্কাতুরা বাগানের ছাত্র মাসুম আহমেদ, তারাপুর বাগানের ছাত্র লিটন রায়, ছড়াগাং বাগানের ছাত্র রিপন কুর্মি, গুলনী বাগানের পবিত্র কুর্মি বক্তব্য দেন।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, লাক্কাতুরা চা-বাগানে নবনির্মিত সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এক হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় বলা হয়েছিল, শিক্ষাবঞ্চিত চা-বাগানের ছাত্রছাত্রীরা এতে অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এই অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।
চা-বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠকেরা জানান, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা টানা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।