এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে সিলেটের ১০ হাজার ৬৮জন শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনে আবেদন করছে। এই শিক্ষার্থীরা ২২ হাজার ৩২৬টি পত্রের নম্বর পরিবর্তন চেয়ে এ আবেদন করেছে।গত বছর সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ফল পরিবর্তনের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টি পত্রের নম্বর পরিবর্তন চেয়ে এ আবেদনকরেছিল শিক্ষার্থীরা। এ বছর তা বেড়েহয়েছে ২২ হাজারেরও বেশী ।ফল পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশী আবেদন পড়েছে গণিতের জন্য। গণিতের জন্য আবেদন করেছে ২ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। বাংলাতে ১ হাজার ৯৭৫ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি পত্রের জন্য ১ হাজার ৮৩২টি আবেদন পড়েছে। বাকী আবেদনগুলো অন্যান্য বিষয়ের জন্য।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মঈনূল ইসলাম তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ বছর আবেদনকারী শিক্ষার্থী গত বছরের তুলনায় বেড়ে গেছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জিপিএ পদ্ধতি চালুর ১৭ বছর পরএবার প্রথম নম্বর দেখার সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী ৭৮ বা ৭৯ পেয়েছে কিংবা ৩২ পেয়েছে। এরকম প্রত্যেকটি গ্রেডের আগে এক বা দুই নম্বর কম পেয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে।এর মধ্যে ৩২ নম্বর পেয়েও ফেল করেছে এরকম আছে অনেক শিক্ষার্থী। এবার আবেদনের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য এটাও একটা কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি।তিনি আরো জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনটি ক্যাটাগরি এমসিকিউ, প্র্যাকটিক্যাল ও লিখিত নম্বরপত্র আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষক মূল্যায়ণ করার কারণে এমনটা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার কমেছে, কিন্তু বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার পাশ করেছে ৮০ দশমিক ২৬ ভাগ। যা গতবারের তুলনায় ৪ দশমিক ৫১ ভাগ কম। ২০১৬ সালেপাশের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭৭ ভাগ। এবারজিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জন। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৬৬ জন।এবারের পরীক্ষায় মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮৭২ টি স্কুলের ৯৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থীঅংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাশ করেছে ৭৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩৩ হাজার ৬৫৫ এবং মেয়ে ৪১ হাজার ৩১৯ জন।বোর্ডের অধীন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করেছে ১৭ হাজার ১২৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়ছে ২৫৫০ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৪৯ হাজার ৯১৩ জন পাশ করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ জন।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮ হাজার ৪৩৪ জন পাশ করেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৬ জন।এদিকে, চলতি বছর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের রেকর্ড হয়। পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা দুটিই কমেছে। এ বছর দেশের ২৮ হাজার ৩৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৩ হাজার জন পরীক্ষার্থীরমধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে মোট ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। ১০টি বোর্ডেগড় পাসের হার ৮০ দশমিক তিন পাঁচ শতাংশ; আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ ।