ভারতের ত্রিপুরা সমীন্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর থেকে বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আরশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই ১৫ শিক্ষার্থীকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা সীমন্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকা থেকে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘোরাফেরা করার সময় ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিঙ্গারবিল বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) টহলরত বিজিবি সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে।
আটকরা হলেন- সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জায়িম খান, মো. মেহেদী হাসান, আশিক মিয়া, তারেক হোসেন, এ.কে.এম সালেহীন, মো. রবিউল, জুনায়েদ হোসেন, একই ইউনিভার্সিটি থেকে সদ্য পাশ করা মো. আবুল হাসনাত, মো. মনিরুজ্জামান, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ`র (এআইইউবি) ইয়াহিয়া হোসেন সাজ্জাদ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির নিয়াজ আহমেদ তুষার, শ্যামলী পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউটের মো. আরিফ, নর্দান ইউনিভার্সিটির মো. সাইফুল ইসলাম, উত্তরা ইউনিভার্সিটির আলমগীর হোসেন ও ব্রাহ্মণাবড়িয়া সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমন।
আটকদের সবার বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ আলী আটকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরাফেরা করার সময় সিঙ্গারবিল বিওপির টহলরত সদস্যরা ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী কাশিনগর এলাকা থেকে ওই ১৫ জনকে আটক করে। তারা সবাই ঢাকার বেসরকারি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিজিবি সদস্যদের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা সবাই ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে সীমান্ত এলাকায় বিয়ার পান করতে এসেছেন বলে জানিয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আটকদের বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।