সৃজনশীলে ৭টি প্রশ্নের উত্তরই লিখতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

সৃজনশীলে ৭টি প্রশ্নের উত্তরই লিখতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |
 মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশের নম্বর কমিয়ে সৃজনশীলে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। সৃজনশীলে ৭টি প্রশ্নের উত্তরই লিখতে হবে। এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী । আজ রোববার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।Nahid-press-con

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে বরেণ্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সৃজনশীল অংশে প্রশ্ন ও নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় একটি প্রশ্নপত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রশ্ন করা হয়। একটি অংশ সৃজনশীল, আরেকটি অংশ এমসিকিউ। এত দিন ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিল ৬০, এমসিকিউ অংশের নম্বর ছিল ৪০।

এমসিকিউর জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০০ নম্বরের মধ্যে সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০। এমসিকিউ অংশের নম্বর হবে ৩০।গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিন্ধান্ত নিয়েছিল।।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমসিকিউর ১০ নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। যুক্তিও নেই। কারণও নেই। বলেন, প্রথমে মফস্বলে কিছু শিক্ষার্থী আপত্তি করেছিল। শেষ দিকে ঢাকার কয়েকটি স্কুলও তাতে যুক্ত হয়। তবে এখন আর তা নেই।

নতুন পরিবর্তনের ফলে কী হবে সেটার ব্যাখ্যা দেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আগে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এমসিকিউর নম্বর ছিল ৪০। সময় ছিল ৪০ মিনিট। তখন সৃজনশীলে ৯টি প্রশ্ন থেকে ৬টির উত্তর দিতে হতো।

সে জন্য সময় ছিল ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ড। আর পরিবর্তনের ফলে এখন ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টির উত্তর দিতে হবে। সময় বরাদ্দ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

অর্থাৎ প্রতি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে ২১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। মন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৪ সেকেন্ডের হেরফের কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। একই ভাবে ৭৫ নম্বরের যে পরীক্ষা হয়ে তাতেও সমস্যা হবে না।

আজকের সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করে সহজ করা, প্রশ্ন ভান্ডার করা, বইগুলো পরিমার্জন করে সহজ করাসহ মাধ্যমিক শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস মনজুর আহমেদ প্রমুখ।

কিন্তু শিক্ষাবিদেরা পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ উঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধাপে ধাপে এমসিকিউ অংশের নম্বর কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে আগামী বছরের পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশের ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল অংশে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থাৎ, ১০০ নম্বরের মধ্যে সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০। এমসিকিউ অংশের নম্বর হবে ৩০। গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিন্ধান্ত নিয়েছিল।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033719539642334