‘শুধুমাত্র চিকিৎসক বা ওষুধ দিলেই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয় না, এর জন্য দক্ষ নার্সেরও প্রয়োজন রয়েছে। দেশে দক্ষ নার্সের অভাব না থাকলেও হাসপাতালগুলোতে নার্স সঙ্কট রয়েছে। তাই উন্নত সেবার আশায় অনেকেই থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে যায়।’
ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বেকার নার্সরা। রোববার (১৭ এপ্রিল) তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ কথা বলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। নার্সদের দুটি সংগঠন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ) এবং বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি (বিবিজিএনএস) এ আন্দোলন করে আসছে।
আবুল মকসুদ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের চেয়ে দক্ষ নার্সের সঙ্কট রয়েছে। যে দেশে দক্ষ নার্স রয়েছে সে দেশে নার্সদের বেকার রাখা সরকারের জন্য লজ্জাজনক।’
ডাক্তারদের মতো নার্সরাও চিকিৎসা সেবার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নার্সরা দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তায় বসে আছে কিন্তু তাদের থাকার কথা হাসপাতালে রোগীর পাশে। তারা নার্সিং কোর্স শেষ করেছে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই। অবিলম্বে তাদের সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।’
গত ২৮ মার্চ পিএসসি ৩ হাজার ৬১৬ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও আগের মতো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দেয়া ও বয়স ৩৬ বছরে উন্নীত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বেকার নার্সরা।
এর আগে গত ৩০ মার্চ একই দাবিতে তারা শাহবাগ মোড়ে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারী নার্সদের সরিয়ে দেয়। এরপর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডিএনএসের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ নার্সরা। গত ৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করে তারা।