ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিক্ষকদের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পক্ষের শিক্ষকদের হাতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষা কার্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত সোমবার উপজেলা সমন্বয় সভায় উপজেলার ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ, ই-প্রাইমারি, উপবৃত্তির তালিকা, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষকদের তালিকা তৈরির জন্য ১০ জন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের তালিকা তৈরি করে শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমাদানের জন্য বলা হয়। সোনাগাজী পৌরসভা এলাকায় তালিকা তৈরির দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক কাজ শুরু করার পর সোনাগাজী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় তাঁকে তথ্য দিতে অপারগতা জানান। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি (সুনীল চন্দ্র রায়) কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হন।
ওই সময় কার্যালয়ে আরও কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সুনীল চন্দ্র রায় ওই শিক্ষকদের দেখামাত্রই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুমান আরা বেগম থামাতে গেলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ দ্রুত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। পুলিশ দেখেই সুনীল ও তাঁর সঙ্গে আসা শিক্ষকেরা দ্রুত সরে পড়েন।
সোনাগাজী মাদ্রাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, সুনীল রায়সহ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই বিবাদে জড়ান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুমান আরা বেগম বলেন, সোনাগাজীতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। যেসব শিক্ষক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ফেলে উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে সুনীল চন্দ্র রায়ের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।