কুমিল্লার মুরাদনগরে বিয়ের প্রলোভনে ২ বছর ধরে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ করে বখাটে যুবক রাসেল। ধর্ষণের ফলে শিশুটি এক পর্যয়ে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় তাকে গর্ভপাতেও বাধ্য করে প্রতারক ওই যুবক। গর্ভপাতে মৃত ছেলে সন্তান হওয়ার পর ওই শিশু মা এখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে হাসপাতালে। প্রতারণার শিকার ওই শিশুর বাবা গতকাল থানায় মামলা দিলে পুলিশ ধর্ষককে আটক করে।
প্রতারক রাসেল (২২) উপজেলার যাত্রাপুর ইউপির ভবানীপুর গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতারক রাসেল নানান কৌশলে ও একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর একসময় শারিরীক সম্পর্কও গড়ে তোলে। তার একপর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে রাসেলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রাসেল এখানেও কৌশল খাটিয়ে সবার অজান্তে মেয়েটিকে গর্ভপাতের ঔষধ খাইয়ে দেয়। ঔষধ খাওয়ার পর মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে মেয়েটি একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে।
মেয়েটির শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে জেলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। মেয়েটির অসহায় বাবা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ প্রতারক রাসেলকে আটক করে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, প্রতারকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (১) ধারায় প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।
আসামিকে গ্রেপ্তার করে ০৯ আগস্ট, বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।