মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় শরীফ হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সালিসে ওই যুবককে জুতাপেটা করা হয়।
স্থানীয় এবং ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রের ভাষ্যমতে, গত বুধবার বিকেলে বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পথে শরীফ তার গায়ে হাত দেন। ওই ছাত্রী এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ে সালিসের আয়োজন করা হয়। এতে বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতোয়ার রহমান, ইউপি সদস্য ইসহাক মিয়া, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সালিসে শরীফকে ৫০ বার জুতাপেটার রায় দেওয়া হয়। এরপর শরীফকে জুতাপেটা করা হয়।
সালিসে শরীফকে ৫০ বার জুতাপেটা করার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ বলেন, বিষয়টি তেমন গুরুতর নয়। মেয়েটির সঙ্গে ওই যুবকের কথা–কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
ওই স্কুলছাত্রী জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে শরীফ তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত বুধবার বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরীফ রাস্তা আটকে তাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। এ সময় শরীফ তার শরীরে হাত দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরীফ হোসেন। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় আছে। সেদিন মেয়েটির সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়েছে। শরীরে হাত দেননি তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। সালিসের বিষয়টিও জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ ফারজানা বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে এ ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা সালিসে মীমাংসা করার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।