বরিশালে আবারও এক স্কুলছাত্রীর সাহসিকতায় ভেঙে গেলো তার নিজের বাল্যবিয়ে। বৃহস্পতিবার (১০ই আগস্ট) বিকেলে বরিশাল জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তার বাল্য বিয়ে ভেঙে দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের রূপাতলী গাজী বাড়ি এলাকায়। বাল্যবিয়ে রুখে দেয়া স্কুলছাত্রীর নাম সাবরিনা আক্তার। সে ওই এলাকার জামাল গাজীর মেয়ে ও বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সদরের সহকারি কমিশনার (ভুমি) নাজমুল হুসাইন। তিনি বলেন, ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই এলাকার রুমিত নামের এক ছেলের সাথে তার বিয়ের আয়োজন করে বাবা-মা। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১০ই আগস্ট) সকালে স্কুলছাত্রী তার বাল্যবিয়ের বিষয়টি বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করেন এবং বিয়ে ভেঙে দেয়ার জন্য সহযোগিতা চান।
অধ্যক্ষ বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হুসেইন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে কিশোরী স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হাজির হন।
এ সময় সাবরিনা তাদের কাছে অভিযোগ করলে সহকারি কমিশনার তার বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন।
সহকারি কমিশনার বলেন, স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী স্কুলছাত্রীর তার বয়স প্রায় ১৫ বছর। সে এখনও প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তাই বিয়ের আয়োজন ভেঙে দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে না দেয়ার জন্য ছাত্রীর বাবা জামাল গাজী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।