পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর খুলনায় মেহেদী হাসান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মেহেদি হাসান মহানগরীর রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
মামলার আসামিরা হলেন- রূপসা পাইকারি কাঁচা বাজার এলাকার মো. রমজান আলী হাওলাদার, মো. আকাশ, হাসী বেগম, খেলাফত আলী হাওলাদার, মোতালেব আলী হাওলাদার, শওকত আলী হাওলাদার, লেলিন, সজিব, আশিক, রাজু, নয়ন, আ. আজিজ ও রাকিব।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেহেদীর মা পাপড়ি বেগম বাদী হয়ে খুলনার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আষতোন নেছা জানান, বাদীর আবেদন গ্রহণ করে আদালত খুলনা সদর থানা পুলিশকে ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য এ আদেশ দিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়, ভিকটিমের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৭ ও ১৫৮ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে আবগত করার আদেশও দেয়া হয়েছে।
নিহতের বাবা রমিজুল হক বলেন, প্রথমে আমার ছেলেকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বলা হলেও পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা মামলার বাদী পাপড়ি বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে হত্যাকারীরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্র মেহেদী হাসানকে মহানগরীর খানজাহান আলী রোডের ওরিয়েন্টাল ফিস কোম্পানি অ্যান্ড কালচার লিমিটেডের সামনে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যায় মেহেদী। মেহেদী নগরীর রূপসা মৎস্য আড়ৎ এলাকার বাসিন্দা রমিজুল হকের ছেলে।