যশোর উপশহরের শহীদ সরণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের জমি বিক্রি করেছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। ক্রেতা রাতারাতি মাঠ দখলে নিয়ে দেয়াল তুলে দিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল শনিবার যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এলাকাবাসী। তারা জানায়, ১৯৭০ সালে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এইচ ব্লকে ১ থেকে ১৮ নম্বর প্লটে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে এটি সরকারিকরণ হয়। ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়ের মাঠের সাত কাঠা জমি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ হাসিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেয়।
এর প্রতিবাদে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আন্দোলন শুরু করে। সেই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই জমি বিদ্যালয়কে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। একপর্যায়ে হাতবদলের মাধ্যমে এই জমির মালিক হন এনামুল হক। তিনি গত ১১ ফেব্রুয়ারি জমিতে দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন।
এনামুল হক বলেন, ‘আমার কেনা জমিতে আমি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাদ হোসেন বলেন, ‘মাঠের কিছু অংশের ওপর প্রাচীর নির্মাণ করার কারণে মাঠ ছোট হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা ও খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মাঠে দেয়াল দেওয়ার প্রতিবাদে রবিবার আমরা বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করব। ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেব।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক কুমার সরকার বলেন, ‘এনামুল হকের কাছে ১২.৩৭ শতাংশ গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জমি বিক্রি করা হয়েছে। তিনি সেখানে প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। ওই জমি বিদ্যালয়ের নয়।’