দেশের একেকটি মাধ্যমিক স্কুলে কম করে হলেও এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। বিশেষ করে মফস্বলে এই সংখ্যা আরো বেশি। স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করে। এই দীর্ঘ সময় অনেক ছেলেমেয়ে না খেয়ে থাকে, অনেকেই ভাজাপোড়া বা জাংক ফুড খায়। ফলে তাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ইদানীং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও অনেকের নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে এসব অজানা রোগ বা আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। মাঝেমধ্যে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিতে না পারলে আক্রান্তকে বাঁচানোই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলো ক্লিনিক থেকে অনেকটা দূরে থাকে।
তাই ক্লিনিকে নিতে নিতে অনেকের জীবন সংকটে পড়ে যায়। আবার শহরে স্কুল থাকলেও বাইরে থেকে ডাক্তার আসতে আসতে দেরি হয়ে যায়। তাই আগামী দিনের সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি প্রাথমিক ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক স্কুলে অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগের মতোই ডাক্তার নিয়োগ হলে অথবা একেবারে নিয়োগ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের মাধ্যমে স্কুলে বিশেষ সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।