স্কুলে বসেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ! - দৈনিকশিক্ষা

স্কুলে বসেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ!

রাজশাহী প্রতিনিধি |

রাজশাহীতে স্কুলে বসেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি না গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটার হতে আগ্রহীদের ডেকে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। গত বুধবার তা শেষ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ না করায় এবারও অনেকেই নতুন ভোটার হতে পারেননি।

নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন বলেন, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন অফিসের লোকজন তা করেননি। তারা কিছু বাড়ি গেছেন, কিছু বাড়ি যাননি। যেভাবে পেরেছেন, সেভাবে কাজ শেষ করে দিয়েছেন। এ কারণে আমার ওয়ার্ডের অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। এখন ভোটার হতে আগ্রহীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম অন্তর্ভুক্তি করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান।

একই অবস্থা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের নামেমাত্র ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা প্রতিটি বাড়িতে যাননি। নামি-দামি মানুষের বাড়িতে গেছেন। কিন্তু অলিগলির ভেতরে ছোটখাটো বাড়িগুলোতে যাননি। ওই ওয়ার্ডেও শিরোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছোট বনগ্রাম সরকারি বিদ্যালয়ে বসে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ফলে অনেকেই বাদ পড়েছেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে সাবিত্রী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বসে। এভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডেই কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসেই তথ্য হালনাগাদের কাজ শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে নগরী পদ্মা আবাসিক এলাকার রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন অফিসের লোকজন বাড়ি বাড়ি যাননি। হয়তো কোনো বাড়িতে গিয়ে একবার কলিং বাজিয়ে সাড়া পাননি। তাতেই ফিরে গেছেন। কিন্তু শহরের বাড়িগুলোতে তো একবার ডেকে কাউকে পাওয়া যাবে না। তারা দায় সারতে এমনটিই করেছেন। ফলে অনেকেই ভোটার হতে পারেনি।

নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল আলম বলেন, জুমার নামাজের পর মসজিদে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তথ্য হালনাগাদ করার। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আমার বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু কেউ আসেনি। তাই ভোটার হতে পারেননি। জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা শতভাগ সফল হতে পারিনি। তবে চেষ্টা করা হয়েছে সব বাড়িতেই পৌঁছানোর। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা ছিল। ডাক দিলেও অনেকেই আবার বাড়ির দরজা খুলতে চান না। অনেকেরই বাড়ির দরজা থাকে লাগানো। এজন্য হয়তো কেউ বাদ পড়তে পারেন। তবে বাদ পড়াদের পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034458637237549