মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে আজ রবিবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সতীর্থদের। আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা সংক্ষেপে তুলে ধরেছিলেন আয়োজকরা। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বন্ধ এবং অনুষ্ঠানের আহ্বায়ককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছে পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষ শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বর্তমানে ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরত। গত শুক্রবার রাতে টেলিফোনে তিনি জানান, ২৬ মার্চ কী—প্রেক্ষাপট তুলে ধরতেই তিনি আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও প্রায় তিন লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালির বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছিলেন। আর এতেই ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ও অধ্যয়নরত সব পাকিস্তানি বিষয়গুলো অস্বীকার করে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকি ওই পাকিস্তানিরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিও তুলেছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকে বাংলাদেশের মিথ্যাচার হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা না বলতে ই-মেইল ও টেলিফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ’ এসব হুমকি সত্ত্বেও আজ তিনিসহ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি। এতে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদেরও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
মাহবুবুর রহমান জানান, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা একদিকে গণহত্যা, বর্বরতা, নির্যাতনকে বাংলাদেশের মিথ্যাচার বলে অভিহিত করছে। আবার অন্য মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অতীত ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।