এবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর জবানবন্দি ও এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমে শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদদের নানা বক্তব্য জেনে আমি কিছুটা গোলক ধাঁধায় পড়েছি। পাঠক ক্ষমা করবেন, এ নিশ্চয়ই আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য প্রকাশকারী অনেকেই দেখলাম আমার মতো জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলছেন। তাই প্রবক্তা, প্রণয়নকারী ও বাস্তবায়নকারী বিজ্ঞজনদের দায় থেকে যায় এর সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া। বেশ তো কয়েক বছর রাজনীতির সুশীতল ছায়াবৃক্ষ আমাদের ছোট শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে ছিল। ফলে দেশের ক্ষমতাসীন নেতা-নেত্রীরা ফলাফল প্রকাশের দিনে সাংবাদিকদের সামনে সহাস্য মুখে বলতেন, আমাদের শাসনামলে শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে। পাসের হার অনেক বেড়েছে। জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সূচক এখন অনেক ওপরে। অনেক স্কুল শতভাগ পাসের সাফল্য দেখাচ্ছে। শতভাগ স্কুলের শতভাগ পাস না দেখাতে পারলে যেন শাসকদের স্বর্ণালি পাখা থেকে একেকটি পালক খসে পড়ছিল। তাই সেসব স্কুলের জন্য শোকজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যেন বলতে চান, এই যে আমরা গোলাভরা নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম, তবুও এ সুযোগ নিতে পারলে না, তাই এখন শাস্তি ভোগ করতে হবে!
শিক্ষাব্যবস্থার এসব জরুরি বিষয় নিয়ে যাঁরা ভাবেন, চর্চা করেন, তাঁরা দেখছিলেন এসব রাজনৈতিক সাফল্য দেখাতে গিয়ে কিভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে স্কুলশিক্ষার কাঠামো ও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা। আর আমরা যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই তাঁরা দেখেছি সরকারি দর্শনের কৃপায় ও অংশত নিজেদের মেধার সম্মিলনে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসা ও পাশাপাশি আতঙ্কিত মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় কড়া নাড়া শিক্ষার্থীর বড় অংশের দীনদশা। রাজনৈতিক উদারতার কৃপায় ‘এ’ আর ‘স্বর্ণখচিত এ’ পাওয়া অনেকেই জ্ঞানের চারণভূমিতে অনুর্বর জমি নিয়ে দাঁড়িয়েছে কম্পিত বক্ষে। ভর্তি পরীক্ষার খাতায় অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্প্রভ আলো। তারপর যারা পুলসিরাত পাড়ি দিয়ে ভর্তি বিজয়ের গৌরবতিলক মাথায় পরল, তাদের অনেকেরই এসএসসি-এইচএসসির দুর্বল প্রস্তুতি আমাদের অসহায় করে তোলে। আমরা বিশ্বাস করি, এসব শিক্ষার্থী অবশ্যই কম মেধাবী নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ভুল পথ ধরে ওদের হাঁটতে শেখানো হয়েছে। দেশে নানা ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত দুর্বলতা যতই থাক, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রতিদিন ‘আধুনিকায়নের’ জন্য গবেষণার অভাব নেই। ক্ষমতাবান আর ভাগ্যবানরা নানা দেশে ভ্রমণ করেন। নানা অভিজ্ঞতায় ঝলমলে হন আর তা শিক্ষার্থীদের ওপর প্রয়োগ করেন। ভুল ওষুধ প্রয়োগ হলে আবার চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টান। কিন্তু তত দিনে জাতির মেরুদণ্ডের মূল্যবান অসংখ্য হাড় ভেঙে যায়।
আমরা যাঁরা ক্ষমতাহীন নিষ্প্রভ কানাই মাস্টার আর দেশের সচেতন হরিপদ কেরানি আছি, তাঁরা হায় হায় করে যাচ্ছিলাম। বলছিলাম, বন্ধ করুন এসব ফলাফল বিস্ফোরণ। স্কুল শিক্ষকদের প্রতি উদারভাবে নম্বর দেওয়ার অলিখিত আদেশ প্রত্যাহার করুন। কৃত্রিম ইমারত গড়ার চেয়ে শক্ত খুঁটির কুঁড়েঘরও ভালো। শক্তির মদে মত্তরা কর্ণপাত করেননি। সম্ভবত অনেক কিছু লেজেগোবরে হওয়ার পর আবার প্যাভিলিয়নে ফিরে এসেছেন ‘শিক্ষা গবেষকরা’। এবার আদেশ হলো গোলাভরা ধান আর অকাতরে বিলাতে হবে না। যেমন নম্বর পাওয়া উচিত তেমন দিতে হবে।
আমরা মনে করি, এই কয়েক বছর উদার হাতে নম্বর দেওয়ার যে অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে তা এক লহমায় নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কথা নয়। যদি নীতি ঠিক থাকে, তবে ভবিষ্যতে পাসের হার আরো নেমে আসতে পারে। এই মন্তব্যের অর্থ এই নয় যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত মেধাবী নয়। ওদের মেধা নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই। কিন্তু ওদের দুর্ভাগ্য ওরা অদ্ভুত গবেষণাগারে তৈরি কারিকুলাম পাচ্ছে, পাচ্ছে বিশেষ গবেষণালব্ধ পরীক্ষা পদ্ধতি। এতে কখনো ওএমআর শিটে ঘর পূরণ করে উতরে যাচ্ছে। কখনো অবজেকটিভ নামে প্রশ্নের উত্তরে আটকে পড়ছে। কখনো বা পরীক্ষা পদ্ধতি ওদের নির্ভরশীল করে তুলছে কোচিং সেন্টার ও গাইডের ওপর। নিজের মেধাকে পরিমার্জনা করা অথবা আবিষ্কার করার সুযোগই পেল না। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে রাজনৈতিক প্রভাব আর অর্থবাণিজ্যের কারণে শিক্ষক নিয়োগ করতে গিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে শিক্ষণ কাঠামো। আর অধুনা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা তৈরি করতে গিয়ে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দিয়ে হাবুডুবু খাওয়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক সবাইকে। এই সুযোগে সৃজনশীলতা দেখাতে মাঠে নেমে পড়েছে স্মার্ট গাইড-ব্যবসায়ীরা। তারা সৃজনশীলের গাইড বই বের করে ফেলছে। যেখানে সৃজনশীলের অর্থই হচ্ছে গাইড, নোট, কোচিং নয়—শিক্ষার্থী নিজ মগজে বুদ্ধির চাষ করে নিজের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাবে, সেখানে আরো গভীরভাবে আটকে গেল গাইড-কোচিংয়ের অক্টোপাসে। পকেট কাটা হতে থাকল অভিভাবকদের। জানি না এর পেছনে কারো বাণিজ্যবুদ্ধি কাজ করেছে কি না। শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট করার জন্য যখন পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা প্রবর্তন করেছিল তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক রসিকজন মন্তব্য করেছিলেন, কোচিং আর গাইডের বিধায়করা নতুন করে উৎসবের আয়োজন করেছে এখন। ব্যবসাটা আরো রমরমা হবে।
বিজ্ঞজনদের মহাপরিকল্পনার সুযোগ শুধু কোচিং-গাইড ব্যবসায়ীরাই যে নিয়েছে তা নয়, প্রশ্ন ফাঁসকারী একটি চক্রও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফাঁস করা প্রশ্নপত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার করার সূত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের নৈতিকতার স্খলনও ঘটছে। বোধ হয় সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। এখন আর কোনো হৈচৈ দেখছি না। ভেবেছিলাম ফাঁস বোধ হয় বন্ধ হয়ে গেল। অথচ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সময় যে চিত্র প্রায় প্রতি পরীক্ষার আগে দেখছি, এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বাসা ও কলেজের দূরত্ব হাঁটা পথে বড়জোর দুই মিনিটের। পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীরা দু-চারজনের দলে গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে মোবাইল ফোন থেকে কী যেন মিলিয়ে নিচ্ছে। কখনো মা ছাতা ধরেছেন মাথার ওপর, আর বাবা মোবাইল মেলে ধরছেন। আগে পরীক্ষার হলে গণটোকাটুকির মচ্ছব হতো; এখন হলের বাইরে গণমোবাইল টোকাটুকির রামরাজত্ব চলছে।
এমন এক বাস্তবতায় এবার এসএসসির উত্তরপত্র মূল্যায়নের ওপর থেকে সরকারি প্রভাব উঠিয়ে দেওয়ায় পাস আর জিপিএ ৫ পাওয়ার হার কমে যাওয়ায় অনেকে হাহাকার করেছে। পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘ফল বিপর্যয়’, তখন আমরা হতাশ হয়েছি। স্বাভাবিকতাকে যেন মানতে পারছি না।
তবে মানতেই হচ্ছে রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য কয়েক বছর ধরে ফলাফল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি সামাজিক সংকটই তৈরি করা হয়েছে। আমি বলছি না উল্টো পথে হেঁটে পেছনে যেতে হবে। তবে ইতিহাসের এ শিক্ষাটিকেও ভুললে চলবে না যে ইতিহাসই পথ দেখায় বর্তমানকে। আমাদের সময় গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল না। আকাশচুম্বী ছিল না পাসের হার। থার্ড ডিভিশন ছিল আর একটি বড় তালিকা ছিল দ্বিতীয় বিভাগের। এর সম্মান ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই। ধনিক শ্রেণির সংখ্যা যেমন সমাজে কম ছিল, প্রথম বিভাগও হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত না। অনেক স্কুল প্রথম বিভাগবিহীনই থাকত। আমাদের সময় শিক্ষা বোর্ডের গুটিকয়েক অসাধারণ মেধাবী ফলাফল অর্জনকারীদের সাধারণভাবে স্ট্যান্ড করা ছাত্রছাত্রী বলা হতো। এখনকার তথাকথিত গোল্ডেন পাঁচকে ধরি সে সময়ের স্টার মার্কস পাওয়া। সেটা তো ক্বচিতে মিলত কোনো কোনো স্কুলে। সেসব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী হতো দেখতে যাওয়ার মতো বরণীয়। সে যুগে স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তেমন অভিযোগ শোনা যেত না। নিবেদিত শিক্ষকরা আমাদের ভিত্তি শক্ত করেই কলেজে পাঠাতেন। আর কলেজ পাঠাত বিশ্ববিদ্যালয়ে। এভাবেই ফলাফল মেনে নিতে অভ্যস্ত ছিল পরিবার ও সমাজ।
এখন আমাদের শিক্ষা নিয়ন্ত্রকরা জিপিএ ৫ পাওয়াকে পরিবারের স্ট্যাটাস সিম্বল করে দিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার সিঁড়ি পাওয়ার অবলম্বন করে দিয়েছেন। ফলে অভিভাবকরা খেয়ে-না খেয়ে কোচিং আর গাইড বইয়ের জন্য বাজেট তৈরি করছেন। পাঠ্যবই পড়ে সময় নষ্ট না করে ছক পূরণ আর মডেল টেস্ট দিয়ে (ব্যতিক্রমদের বাদ দিয়ে) অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনায়াসে জিপিএ ৫-এর দরজায় পৌঁছে যাচ্ছে।
এবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এক শিক্ষার্থীর মা-বাবার প্রতিক্রিয়া দেখে আমার মন্তব্যের প্রমাণ পেয়ে গেলাম। বাবা মধ্যম মানের সরকারি অফিসার, আর মা গৃহিণী। ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। সততা নিয়ে থাকতে চান বলে খুব সচ্ছল নন। মেয়ের কোচিংসহ শিক্ষা খরচ কষ্ট করেই নির্বাহ করতে হয়েছে। আরেকটি ছেলে আছে, সে পিইসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওকেও সৃজনশীলের পাল্লায় পড়তে হচ্ছে। মা গাইড করতে পারছেন না। স্কুলের শিক্ষকরা সৃজনশীলের ব্যাপারে দক্ষ নন। তাই বাধ্য হয়ে ওকেও কোচিংয়ে দিতে হয়েছে। একবেলা বাসায় টিউটর আসে। এসবের কারণে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়া মা রোজই শিক্ষার নীতিনির্ধারকদের শাপ-শাপান্ত করছেন। মেয়েটি ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে গণিত পরীক্ষা দিয়েছে। গণিতে পেয়েছে ৭৮ অর্থাৎ এ মাইনাস। বাকি সব বিষয়ে এ আর এ প্লাস পেয়েছে। মোট সিজিপিএ ৪.৮৭। অর্থাৎ এ মাইনাস। ফলাফলের পর মেয়ের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারিনি। বাবা আর মা দুজনেই শোকাহত। কান্নাকাটি করছেন। যদিও তাঁরা বিশ্বাস করেন, পরীক্ষা অনুয়ায়ী মেয়ের ফলাফল ঠিক আছে; কিন্তু কষ্ট অন্য জায়গায়।
বাবা বলছেন, তিনি অফিসে কলিগদের সামনে মুখ দেখাবেন কেমন করে! কাছের সবার ছেলে-মেয়েরা এ প্লাস পেয়েছে। মায়েরও মনঃকষ্ট এখানেই। বাসা থেকে বেরোচ্ছেন না মা। দ্বিতীয় শঙ্কাটি বাস্তব। মেয়ে বিজ্ঞানের ছাত্রী। পছন্দের কলেজগুলো জিপিএ ৫ ছাড়া আবেদন করতে দিচ্ছে না। অর্থাৎ দরজা বন্ধ। সরকারি কলেজে আবেদন করবে। বাসা থেকে যদি অনেক দূরের কলেজে সুযোগ পায় তখন পড়ানো কঠিন হয়ে যাবে। তৃতীয় কষ্টটিও কম নয়। যে গৃহিণী স্বামীকে সত্পথে উপার্জনে উৎসাহ দিতেন, এখন তিনি রাগ-ক্ষোভের বশে বলছেন, আর আমাদের সৎ থেকে কাজ নেই। সততার মূল্য কোথায়! কারণ পাশাপাশি ফ্ল্যাটে মেয়েটির সহপাঠী থাকে। তাঁরা জেনেছেন ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সন্ধান পেয়েছে পরিবারটি। সেভাবেই প্রস্তুত করিয়েছে মেয়েকে। সৎ মা-বাবার মেয়েটির তুলনায় স্কুলে ওর এই বন্ধুর রেজাল্ট অনেক খারাপ ছিল। এখন ফলাফলে মেয়েটি জিপিএ ৫ পাওয়ায় ওর মা এই ফ্ল্যাটে মিষ্টি নিয়ে এসেছেন।
সার কথা হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকারের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের জানার জগিট উন্মোচন না করে ছকবন্দি পড়াশোনা করিয়ে ধামাভরা নম্বর দিয়ে ফলাফল বিস্ফোরণ করিয়ে কৃতিত্ব নিতে চেয়েছেন। আর বাস্তবতার উঠান থেকে অলীক শূন্যতায় উঠিয়ে শিক্ষার্থীদের কচিমনে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। অভিভাবকদের উচ্চাভিলাষী করে তুলেছেন। এখন বাস্তবতার উঠানে নামতে চাইছেন না কেউ।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়