নরসিংদীতে সৎ চাচার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার এক মাদরাসাছাত্রের পাচঁ টুকরা কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার র্দীঘ ৭ মাস পর শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী মদনগঞ্জ রেললাইনের ৫নং ব্রিজের দক্ষিণ পাশ থেকে এ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইকবাল হোসেন কোতালিচর হোসেন বাজারের জাকির হোসেনের ছেলে। সে পৌলানপুর ফজিল মাদসায় আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য সে ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাত।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ইকবাল হোসেন আলগী মনোহরপুর শাহিন মিয়া গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। সেদিন তার মা-বাবাকে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরবে বলে মোবাইলে জানায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাধবদী থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার। পরে পুলিশ তার মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে মাদবদী থানা পুলিশ দক্ষিণ শিলমান্দীর হিরন মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করে।
কাউসার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন নিহতের সৎ চাচা ওমর ফারুকসহ তিনজন মিলে ইকবালকে হত্যা করে। হত্যার পর কাউসার, নাজমুল খাঁন ও ওমর ফারুক মিলে নিহতের মরদেহ মদনগঞ্জ ব্রিজের পাশের জমিতে পুতে রাখে। পরে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় । এরপর থেকে চাচা ওমর গা ঢাকা দিয়েছে। সন্দেহের সূত্র ধরে প্রথমে কাউসার ও পরি নজরুল খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি ও পরিকল্পানাকারী নিহতের সৎ চাচা কোতালিরচরের মৃত জাহাদ আলীর ছেলে ওমর ফারুক এখনও পলাতক রয়েছেন। র্দীঘ ৭ মাস পর আজ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসামিদের চিহ্নত করা স্থান বিলের পানির নিচ থেকে ইকবাল হোসেনের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
মাধবদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, র্দীঘ ৭ মাস পর আসামিদের চিহ্নিত স্থান থেকে আজ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন মিলে বিলের পানির নিচ থেকে নিহত ইকবালের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করেছে।