বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের একটি সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার ৩০০ উত্তরপত্র। এ সময় উত্তরপত্রের পাশে পড়ে ছিল উত্তরপত্র পরীক্ষকের নিয়োগপত্র। সেই নিয়োগপত্রে পরীক্ষকের কোড নম্বর উল্লেখ রয়েছে ৭০৯০ এবং উত্তরপত্রের বিষয় কোড নম্বর ১৯৭৫।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের সান্যালপাড়ায় শেরপুর প্লাজা বিপণিবিতানের সামনের সড়ক থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পুলিশ উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মজিদ সরকার। তিনি বলেন, উত্তরপত্রগুলো উদ্ধারের পর খোঁজ নিয়ে তিনি জেনেছেন এগুলোর পরীক্ষক ছিলেন বগুড়ার ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটিবি) কলেজের শিক্ষক এম এম মির্জা হাবিব।
শিক্ষক এম এম মির্জা হাবিবের সঙ্গে গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই বস্তায় ছিল বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের টেক্সটাইল অ্যাডভান্স নিটিং অ্যান্ড নন ওভেন বিষয়ের সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষার্থীদের ৩০০টি উত্তরপত্র। গত রোববার তিনি ঢাকায় শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে খাতাগুলো উত্তোলন করেন।
মির্জা হাবিব আরও বলেন, রোববার রাতে উত্তরপত্রের বস্তা নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার পর সেগুলো ওই বিপণিবিতানে (শেরপুর প্লাজা) তাঁর এক বন্ধুর গুদামঘরে রাখতে দিয়ে নিজ বাড়ি বগুড়ার ধুনটের গোসাইবাড়িতে গিয়েছিলেন। উত্তরপত্রগুলো সড়কের সামনে পড়ে ছিল, তা তিনি জানতেন না। পুলিশ উত্তরপত্রের বস্তাটি উদ্ধারের পর তিনি জেনেছেন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, উদ্ধার করা উত্তরপত্রের বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়ার পর ওই পরীক্ষককে সেগুলো দিয়ে দেওয়া হবে।