ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলাধীন তোররা সাতাহাজরা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। তোররা গ্রামে মোঃ নজরুল ইসলাম প্রধান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক অবৈধ ভাবে পরিচালিত তোররা সাতাহাজরা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন তোররা সাতহাজারা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জামালউদ্দীন প্রধান।
অভিযোগে জানা যায়, তোররা সাতাহাজরা এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে তোররা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি দান করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন জামালউদ্দীন প্রধান। বিধি মোতাবেক তিনি নিজ পুত্র মোঃ মাসুদ রানাকে প্রধান শিক্ষক করে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেন। এরপর নিজের ছোট ভাইকে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজ ছোট ভাই মোঃ নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। সভাপতি জামাল লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানাকে নজরুল ইসলামের পরামর্শে শিক্ষার মান উন্নয়নের কার্যক্রম পরিচালিত করেন।কিন্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলার ফাঁকে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হতে পারে এমন কথার সুরে সুকৌশলে স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাগজ-পত্র গোপন করে তার পুত্রবধূকে নিযোগ করেন নজরুল ইসলাম।
জানা যায়, নজরুল ইসলাম একই দাগে ২০১২ খ্রিস্টাব্দ ৩৩ শতাংশ জমি রেজিষ্টার করেন তোররা সাতাহারু নামে যাহার দলিল নং ১০২৯। রেকর্ড অনুযায়ী নজরুল ইসলামের ওই দাগে ১৬ শতাংশ জমির মালিকানা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একই নামে দুটি বিদ্যালয় একশ ফিটের মধ্যে দুটি ছাউনি তুলে পরিচালনা করছে জামালউদ্দীন প্রধান এবং তার নিজ ভাই নজরুল ইসলাম।একটির প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা এবং অপরটির প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জামালউদ্দীন প্রধান জানান, বিগত ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তোররা সাতাহাজারা প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ৩৩ শতাংশ জমি রেজিষ্টার করেন যার দলিল নং ৮৪৫/০২। তাই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধের অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজিজার রহমান জানান, তদন্ত করার পর জানা যাবে কোনটা সঠিক। তারপর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।