হলের দাবিতে মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন পালনের ডাক দিয়েছে হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
সোমবার ধর্মঘট পালন শেষে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে অনশন পালন করবো।
এর আগে ২০১৪ সালের হল আন্দোলনও গড়ে ওঠেছিল হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে। ছাত্রলীগ ও কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতৃতাধীন ওই পরিষদের আন্দোলনে তখন নজরুল ইসলাম হল উদ্ধার হয়। এছাড়া গতি পায় ছাত্রী হলের কাজের।
শরীফুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমরা বলেছি, সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে শরীফুল ইসলাম বলেন, কেরানীগঞ্জে দুটি হল নির্মাণ করতে হবে। পরিত্যক্ত কারাগারের জায়গায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতার নামে চারটি হল করতে হবে। আর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাটি সরিয়ে নিতে হবে।
এদিকে পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে হল পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতর বাংলাদেশ ব্যাংকের এ শাখাটিতে নোট পোড়ানো হয়। এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে এটি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা কোন আন্দোলন করেনি।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টায় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে বাম নেতৃত্বাধীন অংশের আন্দোলনকারীদের তাঁতীবাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তারা সেখানে অবস্থান নেয়নি।ক্যাম্পাসে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকবার মিছিল করলেও পরে তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। এদিকে ছাত্রলীগের মিছিলের সময় কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আহতরা হলেন, ভূগোল বিভাগের নাজমুল হাসান, কাজী হূমায়ুন ও মাহবুব শাওন। এরা সুমনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যান।
আহত নাজমুল হাসানের কাছে আহত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের দাবিতে মিছিলের সময় ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যেয়ে আহত হই। কেউ হামলা করেছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উপর কেউ হামলা করেনি। মিছিলের সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আমরা আহত হই।