হাজী নাছির কলেজের এমপিও: ফের মরিয়া সেই অতিরিক্ত সচিব - Dainikshiksha

হাজী নাছির কলেজের এমপিও: ফের মরিয়া সেই অতিরিক্ত সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

হাজী নাছির কলেজের দশ শিক্ষকের স্থগিত থাকা এমপিও ছাড় করাতে ফের মরিয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেই বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে। নতুন করে নিজেই শুনানি নিতে চান এই অতিরিক্ত সচিব। অথচ গত  ১৩ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কাম্য যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হওয়া কলারোয়ার হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের ১০ শিক্ষকের শুনানি গ্রহণ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। এতে উঠে এসেছে প্রকৃত চিত্র। কিন্ত এতে মন ভাজেনি ওই অতিরিক্ত সচিবের। এবার তিনি নিজেই শুনানি করে ভুলত্রুটি ‘মাফ’ করে দিয়ে এমপিও ফিরিয়ে দিতে চান বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থক একটি জাতীয় পত্রিকায় এই অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালকের কাছ থেকে মাসিক ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার ইঙ্গিতবাহী প্রতিবেদন প্রকাশের পর চাপের মুখে রয়েছেন। এই অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।    

তিনি বলেন, শুধু হাজী নাছির কলেজই নয়। কুমিল্লার দাউদকান্দির আকবর আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের স্থগিত থাকা ২১৪ জনের এমপিও ফিরিয়ে দেয়া এবং আদালতের আদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সদনধারী সহকারি গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভুক্ত করতেও মরিয়া এই অতিরিক্ত সচিব। তিনি যুগ্ম-সচিব থাকাকালে মাউশির এমপিওর সভায় যোগ দিতেন। পদোন্নতি পেয়েও কীভাবে একই মন্ত্রণালয়ে থাকলেন তা নিয়েও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক নেতাদের রয়েছে প্রশ্ন।

ডিআইএর একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের অধিদপ্তরের ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় অভিযুক্ত শিক্ষকরা ভুয়া ও জাল সনদ দেখিয়ে চাকুরিলাভ ও এমপিওভু্ক্ত হন। ডিআইএ’র ওই প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণ করাতে চান ওই অতিরিক্ত সচিব?

কারিগরি অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাজী নাছির কলেজের কারিগরি শাখার নিয়োগে অনিয়মের আসল চিত্র তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাই ২৭ এপ্রিল অধিদপ্তরের এমপিও কমিটির সভায় হাজী নাছির কলেজের দুইজন শিক্ষকের স্থগিত থাকা এমপিও ফের ছাড়করণের আবেদনটি নাকচ হয়েছে। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দুএকজন বিতর্কিত কর্মকর্তা মরিয়া ১০ শিক্ষকের এমপিও ফিরিয়ে দিতে। নীচে দেখুন তাদের সভার সিদ্ধান্ত।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.022622108459473