কলারোয়া উপজেলায় শুন্য পদ না থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপেক্ষামান নিয়োগ বঞ্চিত ১১১ জন প্যানেল শিক্ষক চরম হতাশা ও নিয়োগ পাওয়া নিয়ে শংকিত রয়েছে। বঞ্চিত শিক্ষকদের তাদের দাবি শুন্য পদ না থাকলে তাদেরকে অন্য উপজেলায় নিয়োগ প্রদান করার।
কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ আদালত নির্দেশে উপজেলার ২৩০ জন প্যানেল শিক্ষককে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশ দেন। তারা বলেন, এর মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুন্য পদে ১১৯ জন প্যানেল শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তারা আরো জানান, বর্তমানে উপজেলায় কোন শুন্য পদ না থাকায় নিয়োগ বঞ্চিত বাকি ১১১ জন শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হচ্চে না। শুন্য পদ সৃষ্টি হলে পর্যায়ক্রমে এ সব শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা হবে।
উপজেলার নিয়োগ বঞ্চিত অপেক্ষামান প্যানেল শিক্ষক নাসরিন চামেলী, মোসা: নুরুন নাহার, নাছিমা সুলতানা, মো. ফারুক হোসেন, মতিয়ার রহমানসহ কয়েকজন জানান, অপেক্ষামান প্যানেল শিক্ষকরা নিয়োগ লাভের জন্য উচ্চ আদালতে চার বছর আইনি লড়াই শেষে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় নতুন জাতীয়করনকৃত ২৩০ জন শিক্ষককে শুন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তারা আরো জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনার পর ১১৯ জন শিক্ষককে শুন্য পদে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাকী অপেক্ষামান ১১১ জন শিক্ষককে শুন্য পদ না থাকার অজুহাতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। নিয়োগ বঞ্চিত প্যানেল শিক্ষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সকলেই বঞ্চিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করলেও কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা শুন্য পদ না থাকার অজুহাতে আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি কোন কাজই করছেন না। নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর নিকট দ্রুত নিয়োগ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর হোসেন জানান, উপজেলার ২৩০ জন প্যানেল শিক্ষকদের মধ্যে ইতিমধ্যে শুন্য পদে ১১৯ জন শিক্ষককে শুন্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান, মন্ত্রণালয় থেকে যদি ৭(১)(খ) ধারা মোতাবেক নির্দেশ প্রদান করেন তাহলে বাকি নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকদের অন্য উপজেলা বা জেলা পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হবে।