এক হাজার সাতশ নিরানব্বই জন শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪০ কোটি টাকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এ হিসেব শুধু ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরে মন্ত্রণালয়ের জারিকরা পরিপত্রের পরে নিয়োগ পাওয়া এমপিওবিহীন কর্মরত কম্পিউটার তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য। অধিদপ্তরের হাতে থাকা একহাজার সাতশ নিরানব্বই জন শিক্ষকের এমপিওভুক্তির আর্থিক সংশ্লেষ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় ১২ অক্টোবর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ওয়াহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘নামের তালিকাসহ বিদ্যালয়ে কর্মরত বিজ্ঞান শিক্ষকের তথ্য চেয়ে মাঠ পর্যায়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’ এর আগে ৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরকে এমপিওভুক্তির মোট বার্ষিক ব্যয় ও কোন খাত থেকে ব্যয় মোটানো হবে তা জানতে চাওয়া হয়।
দৈনিকশিক্ষার কাছে থাকা মহাপরিচালকের চিঠিতে দেখা যায়, হিসেব পাঠানো প্রভাষকদের মধ্যে ১৮২ জন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির। বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক ৯জন। স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি শিক্ষক ২১৮ জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক ১৩৬৫ জন। সর্বমোট ১৭৯৯ জনের বার্ষিক মূল বেতন, বাড়ীভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব বোনাসে মোট খরচ হবে ৩৯ কোটি আটাশি লাখ টাকা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অধ্যক্ষ সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, মাঠ থেকে সবার তথ্য সংগ্রহ করে একবারে হিসেব কষে মন্ত্রণালয় জানাতে পারলে আরো ভালো হতো।
সাবেক শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তির একটু আন্তরিক হলে আরো আগেই এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা যেত। তিনি বলেন, সচিবের দায়িত্ব পেয়ে যখন শুনলাম এই শিক্ষকরা বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে নিয়মিত পাঠদান করে যাচ্ছেন অথচ এমপিও পাচ্ছেন না, তখন খুবই খারাপ লেখেছিলো। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিলাম। টাকার সন্ধানও বের করলাম। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমারা উদ্যোগটি থেমে গেলো।