দাকোপের চালনা ডিগ্রি কলেজ ২৩ বছরেও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের কোনো সহযোগিতা দেয়নি সরকার। ১৯৯৫ সালে স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৫ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকমণ্ডলীরা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সন্তোষজনক ফলাফলের মধ্য দিয়ে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্পূর্ণ এলাকাবাসী ও শিক্ষক মণ্ডলীর সহযোগিতায় ভবন নির্মিত হলেও শ্রেণিকক্ষ ভবন মেরামত কাজে সরকারি অর্থ মেলেনি। হতাশায় ভুগছে প্রতিষ্ঠানের সকল মানুষ গড়ার কারিগররা।
সংশ্লিষ্ট এলাকা ও চালনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল সূত্রে জানা যায় দাকোপ উপজেলা সদরে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় যেখানে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলে সরকারি ভবন পাওয়ার শর্ত থাকে সেক্ষেত্রে ২৩ বছর ধরে ১৫ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও সরকারি ভবন থেকে বঞ্চিত। তাদের প্রতি চরম বৈশম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী এমএম কলেজটিতে ছাত্রাবাস বিশিষ্ট ভবনের ব্যবস্থা করেছেন সরকার অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে সু-নজর থাকলে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। দুঃখ হয় দাকোপ উপজেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে তার মধ্যে চালনা ডিগ্রি কলেজটি একটি অন্যতম কলেজ হিসাবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
বর্তমান বর্ষে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০১ জনের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে ৮ জন, ২য় শ্রেণিতে ৬০ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১১ জন। এভাবেই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তিনি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে সু-নজর রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেন।