খুলনা মহানগরীর মুক্তিযোদ্ধা কলেজে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। চলতি বছর এইচএসসিতে এ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। পরীক্ষার্থী ছিল ৭ জন।
প্রায় ১৬ বছর পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়নি। কলেজে বর্তমানে শিক্ষক ও স্টাফ মিলিয়ে কর্মরত রয়েছেন ৩৫ জন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফাতেমা খাতুন বলেন, ১৩৬ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু এ কলেজের। শিক্ষকরা নিজেদের টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতেন।
ফলাফলের দিক থেকেও অন্য কলেজের ঈর্ষার কারণ ছিল। তবে অর্থকষ্টের কারণে শিক্ষকরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এখন আর শিক্ষার্থী ভর্তি করানো ও তাদের দেখভালের দিকে নজর দিতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ১৬ বছর পার হলেও এমপিও পাননি। এমপিও পেতে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে খুলনার এমন নেতা নেই যেখানে তদবির করতে বাকি রয়েছে।
এরপরও এমপিওভুক্ত হয়নি কলেজটি। বর্তমানে ২৬ শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান তিনি। কলেজ সূত্র জানিয়েছে, ১৩ শতক জায়গার ওপর এ কলেজ প্রতিষ্ঠিত। কলেজের শিক্ষকদের টাকায় কেনা আরও দেড় একর জায়গা নিয়ে বর্তমানে মামলা চলছে।
এইচএসসিতে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান ৩টি বিভাগই চালু আছে এখানে। তিন বিভাগে শিক্ষক ২২ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩।
প্রতিষ্ঠানটিতে ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ২০১৪ সালে এ কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ৮ জন। ২০১৩ সালে ২১ জন ও ২০১২ সালে পরীক্ষা দিয়েছে ২৫ শিক্ষার্থী।