কুমিল্লার লাকসামে একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে লাকসাম থানায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিত ওই শিশুর পিতা।
এদিকে, থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাওলানা লোকমান হোসেন নামে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লোকমান উপজেলার বড়বাম উত্তর পাড়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বাম উত্তর পাড়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা লোকমান হোসেন গত ১৮ জুন দুপুর ১২টার দিকে ওই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসা ছুটির পর কাজ আছে বলে তাকে মাদ্রাসায় থাকতে বলে।
এ সময় মাদ্রাসার অন্য সকল শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাদ্রাসার দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত তার থাকার কক্ষে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা ওই ছাত্রীকে বলে দেয় লম্পট অধ্যক্ষ।
তবে শিশু ছাত্রীটি বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। এছাড়া ধর্ষণের ফলে ওই ছাত্রীর শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে শুরু করে। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনার তিন দিন পার হলেও শিশুটি এখনও শঙ্কামুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১জুন)দুপুরে ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাওলানা লোকমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়াও এ ঘটনার খবর চারদিকে ছঁড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সকলে ওই প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তারের পর ওই ধর্ষককে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।