১৬ জুন ২০১৬ তারিখে সংসদে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি অধিদপ্তর ও দপ্তরগুলোতে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩১১টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এই পরিসংখ্যান দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সংসদকে জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর ও দপ্তরগুলোতে ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৩ জন কর্মরত আছেন। অর্থাত্ সরকারের প্রশাসনযন্ত্র চলছে প্রায় ২০% মানবসম্পদের অভাব নিয়ে। এই প্রশাসন কোনোভাবেই বর্তমান ভিশন ২০২১ পূরণ করতে পারবে না।
এদিকে পিএসসির বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৫তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ক্যাটাগরিতে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কমপক্ষে ৩০০০ যোগ্য প্রার্থীকে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী সরকারি প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে সুপারিশ করা যাবে। প্রশাসনের এই লোকবলের অভাব পূরণের জন্য সরকারি কর্মকমিশন আন্তরিক। সরকারি কর্মকমিশন মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও মন্ত্রণালয়গুলো শূন্যপদের চাহিদাপত্র প্রেরণ করছে না। সম্প্রতি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, সবগুলো মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু চাহিদা পাঠিয়েছে। এ অবস্থায়, নন-ক্যাডার ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ আমরা আশা করছি মন্ত্রণালয়গুলো অতিদ্রুত শূন্যপদের চাহিদাপত্র পিএসসিতে প্রেরণ করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মহোদয়গণ এবং সচিবদের দৃষ্টি আকষণ করছি।
মো. মোস্তাইন ইমতিয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়