জাতীয়করণের লক্ষ্যে ডিড অব গিফট (দানপত্র) রেজিষ্ট্রি করতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত ২৮৫ কলেজের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা বাগেরহাটের শরণখোলা ডিগ্রি কলেজ। ৩ শতাংশ স্থানীয় সরকার উন্নয়ন কর বাবদ ৩৭ লাখ টাকা আদায় করার অজুহাতে শরণখোলার সাব-রেজিষ্টার বুধবার দুপুরে রেজিষ্ট্রি না করে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
অন্যান্য কলেজ জাতীয়করণে এ ধরনের কোন কর ছাড়াই রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হলেও শরণখোলা ডিগ্রি কলেজকে ৩৭ লাখ টাকা স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ট্যাক্স ধার্য করায় সরকার গৃহীত কলেজটি জাতীয়করণে বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, এলাকাবাসী, কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আলম ফকির জানান, গত ২০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ার সহকারি সচিব নাসিমা খানম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের ২৮৫টি কলেজের অধ্যক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে ডিড অব গিফট (দানপত্র) রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন। সেমতে, দলিলপত্র লেখার কাজ সম্পন্ন করে বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা সাব-রেজিষ্টারের কার্যালয়ে ডিড অব গিফট রেজিষ্ট্রি করতে যান। কলেজের ১২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মোট সম্পদের ৩ শতাংশের কর বাবদ প্রায় ৩৭ লাখ টাকা কর ধার্য করেন তিনি। ফলে, দানপত্র রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। অধ্যক্ষ আরো জানান, এর পূর্বে রোববার বাগেরহাটের কচুয়ার শহীদ শেখ আবু নাসের মহিলা ডিগ্রি কলেজ এবং তার পূর্বে অন্ততঃ ২০টি কলেজ ওই কর ছাড়াই রেজিষ্ট্রি করা হলেও শরণখোলা কলেজের ক্ষেত্রে এ ধরনের কর চাপিয়ে দিয়ে রেজিস্ট্রি না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা সাব-রেজিস্টার দুলাল কুমার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের রেজিস্ট্রিতে ৩ শতাংশ স্থানীয় সরকার উন্নয়ন কর আদায় করার বিধান রয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্যান্য কলেজে এ কর ছাড়াই রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।