পার্বতীপুর উপজেলার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকরা গেছেন পিকনিকে। শিক্ষকদের সাথে রয়েছেন মোমিনপুর এবং পলাশবাড়ী ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা (এটিও) কামরুজ্জামান ও আজিজুল ইসলাম।
শনিবার এক সঙ্গে এতোগুলো বিদ্যালয় বন্ধ রেখে পিকনিকের আয়োজন করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মোমিনপুর ও পলাশবাড়ী ইউনিয়ন ক্লাস্টারের ৫৪টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৭৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পিকনিকে যান। এরমধ্যে মোমিনপুর ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রংপুরের বিনোদন স্পট ভিন্নজগতে এবং পলাশবাড়ী ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্বপ্নপুরীতে। এ জন্য শিক্ষক প্রতি ৫শ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও আজিজুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে সংরক্ষিত ছুটি থেকে একদিন স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পিকনিকে গেছেন। তারা অতিথি হিসেবে সাথে ছিলেন।
পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, তিনি ছুটিতে আছেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমেশ মজুমদার বলেন, সংরক্ষিত ছুটির বিষয়ে শিক্ষকরা তাকে বলেছিলেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। শিক্ষকেরা শিক্ষা সফরের জন্য বা অন্য কোন কারণে তাদের পাওনা সংরক্ষিত ছুটি (যদি থাকে) থেকে স্কুল বন্ধ দিতে পারেন। তবে এতগুলো স্কুল একদিনে বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। তারা শুক্রবারও শিক্ষা সফর বা পিকনিকে যেতে পারতেন।