বরিশালের মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ কাজিরচর দাখিলি মাদ্রাসাটি ৬৩ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচরে ১৯৫৩ সালে স্থাপিত কাজিরচর দাখিলি মাদ্রাসা, ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসাটি একাধিকবার নদী ভাঙনে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ২০০৭ সালে সিডরের বন্যায় ভেঙে যায়। প্রতি বছর শতভাগ পাস করলেও গত দুই/তিন বছর যাবত্ ভাঙা মাদ্রাসাটিতে এক দেরশ শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকির কারণে তারা মাদ্রাসায় উপস্থিত না হয়ে বাড়িতে বসে লেখাপড়া করে আসছে।
গত সাত বছর যাবত্ সরকারি-বেসরকারি ও ধনাঢ্য ব্যক্তির সাহায্যে মাদ্রাসার সিডরে ভাঙা ঘরটি উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবছর সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পরিদর্শন খরচ এবং ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বহন করতে হয় শিক্ষকের বেতন দিয়ে।
দীর্ঘ ৬৩ বছর আগের এই মাদ্রাসা থেকে শত শত মেয়ে শিক্ষিত মা হয়েছে। শত শত ছেলে লেখাপড়া উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। তাই এ এলাকার মাদ্রাসাটি আজও চেয়ে আছে সরকারের দিকে।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া বলেন, জনপ্রতিনিধিরা তদবির না করলে স্কুল-মাদ্রাসার উন্নয়ন করা খুব কঠিন ব্যাপার।