এমপিওভুক্তির জন্য ৭০ জন সহকারি গ্রন্থাগারিক আবেদন জমা দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। জমা হওয়া ওই আবেদনের বাণ্ডিলসমেত ফাইলটি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার আবেদনগুলো শিক্ষা অধিদপ্তরে পৌঁছায়। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সনদ কিনে চাকরি পাওয়া বেশ কয়েকজন রয়েছেন। তবে, তারা অধিদপ্তরের কমচারী ও দালালদের মাধ্যমে পুরনো ফাইল গায়েব করে নতুন সনদ ও কাগজপত্র ঢুকিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দুইজন দালালের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছে এমপিও করিয়ে দেয়ার।
অধিদপ্তরের একজন এমপিও অফিসার দৈনিকশিক্ষাকে বলেছেন, ওই ৭০ টি আবেদন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের অধিদপ্তরে অগ্রায়ন করা হয়েছে। এমপিওভুক্তি করতে হবে বা করার আদেশ দেয়নি। সিদ্ধান্ত নেবো আমরাই। কাগজে গরমিল ও গোঁজামিল থাকলে এমপিওভুক্তি হবে না।
এদিকে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অফিসার ও কর্মচারীদের ঘুষ দেয়ার কথা বলে, পাঁচ লাখ টাকা আদায় করেছে আবুল বাশার ও জাকির। কোন অফিসারকে কত দিয়েছে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে চলছে মারামারি। সংবাদ সম্মেলনে হল ভাড়া ও সাংবাদিকদের দেয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাতক্ষীরার দুলাল ও মাদারীপুরের জাকির। মানবন্ধন করার ব্যানারের খরচ নিয়ে ও চলছে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ।
অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, আবেদকারীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঠিকানা ও সনদ কেনার দোকানগুলো খুঁজে বের করতে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হবে। দারুল ইহসান থেকে সনদ কিনে নিয়োগ পাওয়া সহকারি গ্রন্থাগারিকদের পক্ষে যারা কথা বলবেন ও সুপারিশ করবেন তাদের সবাইকে শিক্ষা অধিদপ্তরে বেঁধে পুলিশে দেয়া হবে।
ফৌজদারি মামলা হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভুয়া সনদে নিয়োগপ্রাপ্তদের পুলিশে দেয়ার দাবী জানিয়ে নতুন মহাপরিচালকের কাছে আবেদন জানাবেন তারা।