বদলির আবেদন প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে সমাধান দেবেন নব নিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। কি কারণে বদলি করা সম্ভব হলো না তা-ও আবেদনকারীকে জানিয়ে দেয়া হবে।২১ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষক ছাড়াও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্মচারীদের বদলি ও পদায়ন করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের।
বদলি নিয়ে হয়রানি, ঘুষ লেনদেন, আবেদনকারীদের আবেদন অধিদপ্তরের টেবিল থেকে হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা চলে আসছিল গত সাড়ে তিন বছর যাবত।
মহাপরিচালক দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘সকল হয়রানি বন্ধের দায়িত্ব আমার। বদলিতে হয়রানি বন্ধ করতে সবাইকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি। সাত দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। সম্ভব না হলে আবেদনকারীকে জানিয়ে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন বদলিইচ্ছুকরা কীভাবে হয়রানি শিকার হয়েছেন গত কয়েকবছর যাবত।
অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মুহম্মদ জাকির হোসেন দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘বদলিতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির খবর শুনে আসছি কিন্তু আমি এই চেয়ারে বসার পর আর কোনো অভিযোগ শুনতে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘নিয়মমাফিক বদলির আদেশ হবে, বদলি না করা গেলে জানিয়ে দেয়া হবে। মহাপরিচালকের নির্দেশে আমরা অধিদপ্তরের সুনাম বৃদ্ধি করবো। মহাপরিচালকের নেতৃত্বে অতীতের সকল দুর্নাম ঘুচিয়ে দিবো।