শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ এবং ৮ম পে-কমিশনের আলোকে ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, বাংলা নববর্ষের উৎসব ভাতা চলতি বছরে প্রদান, নন এএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিওভুক্তিকরণসহ ৮ দফা দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির আয়োজনে বেলা ১০ টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাকবিশিস কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মসিউর রহমান, উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক, অধ্যক্ষ আনিচুর রহমান, অধ্যাপক আবদুস সালাম, অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র মজুমদার, অধ্যাপক রফিকুল হয়দার চৌধুরী, অধ্যাপক শাহ্ আজিজুর রহমান খোকন, অধ্যাপক নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, অধ্যাপক গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মনির হোসেন শাহীন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, পে-স্কেল ঘোষণার পর এক আন্দোলনের মাধ্যমে স্কেলের প্রারম্ভিক শতভাগ অর্জিত হলেও স্কেলে ঘোষিত ৫ ভাগ হারে বার্ষিক এবং বাংলা নববর্ষের উৎসব ভাতা এক বছর অতিক্রম হলেও এখনও দেয়া হয়নি।
এছাড়া নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিশাল একটি অংশ এখনো এমপিওভুক্তি করা হয়নি। ফলে তাদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, অনেক সময়েই অনেক কর্তা-ব্যক্তিরাই বলে ফেলেন, এখন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন শতভাগ দেওয়া হয়। আসলে প্রারম্ভিক স্কেলের শতভাগ দেওয়া হলেও বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা যথাক্রমে পাঁচশ টাকা করে দেয়া হয়।
বক্তারা প্রশ্নতুলে বলেন, বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে পাঁচশ টাকায় কোন বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় কি? এছাড়া পদোন্নতির অবস্থা অনেকাংশেই নিগৃহিত, বঞ্চনার ধারাবাহিকতা অনুপাত প্রথার বেড়াজাল ভেদ করে সহকারি অধ্যাপকদের ওপরে আর ওঠা যায় না। জীবনের শেষ স্তরে অবসরে গিয়েও অবসর ভাতা পেতে অপেক্ষা করতে হয় চার থেকে পাঁচ বছর।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সমস্যা দূর না করে শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সে কারণে বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের সমাধান করা এগিয়ে যাওয়া উচিত।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সদর রোড এবং ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দবৃন্দ তাদের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর একটি স্মরকলিপি প্রদান করেছেন।