ভোলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলছে। ভোলার চরফ্যাসনে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনার জের না কাটতেই আবার ভোলার দৌলতখানে অটো থামিয়ে ডেকে নিয়ে একটি ক্লিনিকের কর্মী বিধবা নারী ২ সন্তানের মাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে ধর্ষকদের মধ্যে ২ জনকে শনাক্ত করতে পারলেও তবে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ভোলার দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে।
জানা গেছে, ২ সন্তানের মা ৩৫ বছরের এক নারী ভোলা শহরের একাটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন। প্রায় ৪ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান। ক্লিনিকে চাকরি করেই তিনি সন্তানদের নিয়ে সংসার চালান। প্রতিদিনের মতো ক্লিনিকের কাজ শেষ করে রাতে একটি অটোরিকশা যোগে ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত প্রায় ১০টার সময় দৌলতখানের হালিমা খাতুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ৪ যুবক ওই অটোরিকশাটি থামায়। ওই নারীর সাথে কথা আছে বলে তাকে কলেজের ভিতরে নিয়ে যায় ৪ যুবক। প্রায় আধাঘন্টা পর ওই নারীর চিৎকার শুনে অটোচালকসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তার আগেই পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। নির্যাতিত ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১২ টার পর হাসপাতালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, তিনি ৪ যুবকের মধ্যে ২ যুবককে চিনতে পেরেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
এদিকে গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে কুকরী মুকরীর বনে ও ট্রলারে রাতভর ৫ যুবক মিলে গণধর্ষন করে। ভোলায় গত প্রায় দেড় মাসে একের পর এক শিশু থেকে শুরু করে যুবতী, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে সচেনতন মহল। আর যাতে এধরনের ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. গোলাম রাব্বি চৌধুরী জানান, নির্যাতিত ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, আমরা এরইমধ্যে ২ যুবককে শনাক্ত করতে পেরেছি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।