এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান—সুকান্তের এই অমর বাণী এখন মানছে না অনেকেই। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা ও উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তেমন সুযোগ পাচ্ছে না বললেই চলে। অথচ মাউশি প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (৯ মার্চ) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে শিক্ষকই পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার কাজ করে থাকেন; এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের ঘাটতি দেখা যায়। সৃজনশীল হওয়ার সুযোগ মিলছে না তাদের। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে মেধার বিকাশ, তৈরি হচ্ছে না গুণগত বক্তা ও শ্রোতাও।
কথা হলো, কাজ করতে না দেওয়া হলে আগামী প্রজন্ম কিভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে? অনুষ্ঠান পরিকল্পনা থেকে শুরু করে তার আয়োজন, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করার সুযোগ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এতে করে তারা হয়ে উঠবে সেরা ইভেন্ট ম্যানেজার কিংবা সফল আয়োজক অথবা দেশসেরা উপস্থাপক। আর গ্লোবালাইজেশনের এই সময়ে সুদক্ষ জনসম্পদ একটি রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান। পরিতাপের বিষয় হলো, সরকার তা অনুধাবন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও তার বাস্তবায়ন নেই। নতুন প্রজন্মকে গড়ার পথে দ্রুতই শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির নির্দেশ বাস্তবায়ন জরুরি।
লেখক: সাব্বির হোসেন, শ্রীপুর, গাজীপুর