শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাজকর্মে অনেক উন্নতি হয়েছে। এটি ধরে রাখতে হবে। কাজের মান, দক্ষতা ও সেবা উন্নত করে নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করতে হবে। বর্তমান ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হবে। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের যোগদান উপলক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী চলমান কাজগুলো যেন স্বাভাবিকভাবে চালু থাকে এবং কাজের গতি যাতে শ্লথ বা ধীর না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও আহবান জানান। তিনি বলেন, অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলোর কাজও দ্রুত চালিয়ে যেতে হবে। যেন সময়মত তা শেষ হয়।
নাহিদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বিগত ১০ বছরে অনেক কিছু শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে পুরো সেট বই একসাথে শিশুদের হাতে দেয়া হচ্ছে। আগে পুরো সেট বই কিনে সংগ্রহ করতে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লেগে যেত। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, মেধাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বৃত্তির সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ অনেক বাড়ানো হয়েছে। মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত দিনে প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হচ্ছে। অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। তারপরও ভর্তির ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে এটা দূর করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
এসএসসির ফরম পূরণে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষকদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নতুন মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানসহ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।