অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - Dainikshiksha

অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি |

দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাড়ে ৪’শ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত অভিযোগ তুলে হাবিপ্রবি দিনাজপুরের অধিভুক্ত একমাত্র কলেজ শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষ তৈয়বা খাতুনের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে ওই কলেজের অনার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তা অবরোধ করে তারা। এ সময় প্রায় আধা ঘন্টা সব ধরণের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের অনুরোধে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। 

শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ অপসারণের পাশাপাশি চলতি বছরে পাস করা বিবিএ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এমবিএ নিশ্চিতকরণসহ অন্যান্য সিএসই ও এগ্রিকালচার অনুষদের নিয়মিত মাস্টার্স নিশ্চিতকরণ, সার্টিফিকেটের অনুলিপি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা, হাবিপ্রবির ন্যায় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা, হাবিপ্রবির কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে মত বিনিময়ের দাবি করেন।  

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র অধিভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে অর্নাস কোর্স খোলা হলে ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বতর্মানে ৬১ জন রয়েছে । শিক্ষার্থীরা  ৪ বছর মেয়াদী বিবিএ সম্পন্ন করেন। চলতি মাসের ২৫ তারিখে নিয়মিত এমবিএ ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা  হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপালী ব্যাংক একাউন্টে ৭’শ টাকা জমা দিয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করেন এবং ভর্তি ফরম পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে যান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  ফরম জমা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা হতাশা হয়ে কলেজে ফিরে অধ্যক্ষের কাছে সমাধান চান। অধ্যক্ষ ড. তৈয়বা খাতুন  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীরা গত ২৭ জুন কলেজের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং শিক্ষার্থী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ভাংচুর এবং অবরুদ্ধ থাকা বিল্ডিংয়ের সামনে আগুন দেয়।  
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২০ দিন ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন, অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোন দাবি পুরণ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই এবার রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। 

এর আগে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আঃ মান্নান ও স্থানীয় থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস জানিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করেন।

অন্যদিকে অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের আলাদা সনদপত্র প্রদান এবং নিয়মিত মাস্টার্স ভর্তি কোর্সে পড়ার সুযোগ না দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ৫ জুলাই হাবিপ্রবির ভিআইপি কনফারেন্স রুমে উপচার্য প্রফেরস ডা: মু. আবুল কাসেম বলেন, তোমাদের আন্দোলন এবং দাবি যৌক্তিক। অধিভুক্ত কলেজকে আলাদা সনদপত্র প্রদান এবং নিয়মিত এর পরিবর্তে সন্ধ্যাকালীন কোর্সে মাস্টার্স করতে পারবে বলে তিনি জানান। 

এ প্রসঙ্গে শহীদ আকবর আলী কলেজের অধ্যক্ষ তৈয়বা খাতুন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ: মান্নান বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অধীনে। আমরা সেখানে যোগাযোগ করে সুরাহা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন অবশ্যই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

 

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037071704864502