বেসরকারি কলেজের প্রভাষকের পদোন্নতিতে বিদ্যমান অনুপাত প্রথার জন্য অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই। মোট সংখ্যার ৫:২ হিসেবে প্রভাষকদের পদোন্নতি দেয়ায় দীর্ঘদিন চাকরি করেও অনেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। কিন্তু এমপিও নীতিমালা সংশোধনীতে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ এবং স্নাতক কলেজের উপাধ্যক্ষ হতে সহকারী অধ্যাপক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। তাই, অনুপাত প্রথার জন্য সহকারী অধ্যাপক হতে না পারা প্রভাষকরা ১৫-১৬ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়েও উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারছেন না। আর উপাধ্যক্ষ হতে না পারায় অধ্যক্ষ পদেও আবেদন করতে পারছেন না তারা।
এ জটিলতায় সংক্ষুব্ধ হয়ে একজন শিক্ষক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের যোগ্যতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি মো. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। কিন্তু প্রায় ১৫ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও রুলের জবাব দেয়নি সরকার।
জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের লুলু আল মারজান নামের একজন প্রভাষক রিট আবেদনটি করেন।
মামলার আর্জিতে প্রভাষক উল্লেখ করেন, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন তিনি। ৮ বছর পদটিতে থাকার পর সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যমান অনুপাত প্রথার কারণে তিনি পদোন্নতি পাননি। কিন্তু ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি এমপিও নীতিমালা অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের যোগ্যতা সংশোধনী জারি করা হয়। এতে ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ হতে ৩ বছরের সহকারী অধ্যাপক পদের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়। কিন্তু অনুপাত প্রথার জন্য সহকারী অধ্যাপক হতে না পারায় তিনি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারছেন না।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার আর্কাইভে থাকা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক পদের পদোন্নতি পদ্ধতি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
পদোন্নতি বঞ্চিত সাত প্রভাষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রুল জারি হয়। রুলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫:২ অনুপাত নীতিমালা অনুসরণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ চেষ্টা করেও ওই রুলের জবাব সম্পর্কিত কোনো তথ্য পায়নি দৈনিক শিক্ষার রিপোর্টাররা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন ওই রুলের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। একজন অবশ্য বলেছেন, খুব সম্ভবত পেন্ডিং রয়েছে।
রিট করেন বগুড়ার দরগাহাট ডিগ্রি কলেজের পদোন্নতি বঞ্চিত ৭ জন প্রভাষক।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।