অধ্যক্ষ ছাড়াই ১১ বছর নেই স্থায়ী কর্মচারীও - দৈনিকশিক্ষা

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজঅধ্যক্ষ ছাড়াই ১১ বছর নেই স্থায়ী কর্মচারীও

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সালে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভবন। নগরীর উপকণ্ঠ আলুরতলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮ সালে। এরপর পেরিয়েছে ১১ বছর। এ দীর্ঘ সময়েও অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি কলেজটিতে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান সিলেট পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও স্থায়ী কর্মচারীও পায়নি কলেজটি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তখ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখে েছন দেবাশীষ দেবু। 

তথ্যমতে, কলেজটিতে বর্তমানে স্নাতক শ্রেণীতে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে পড়াশোনা করছেন তারা। কিন্তু স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় নিয়মিতই প্রশাসনিক ও একাডেমিক নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কারণ অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও সিলেট পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাধারণত নিজ প্রতিষ্ঠানেই অবস্থান করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ নেই। পলিটেকনিক্যালের অধ্যক্ষ কলেজেরও অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু তিনি এখানে খুব কমই আসেন। ফলে শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে হয়।

এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে বিভিন্ন সার্টিফিকেট পেতেও ঝামেলায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার থেকে বিভিন্ন সময় এ ব্যাপারে আশ্বাস দেয়া হলেও এখনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

স্থায়ী অধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক কাজে নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা মোকাবেলা করতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন কলেজটির একাধিক কর্মকর্তাও। তারা জানান, শুধু স্থায়ীভাবে নিযুক্ত অধ্যক্ষ নয়, এখন পর্যন্ত স্থায়ী ভিত্তিতে কোনো কর্মচারীও নিয়োগ দেয়া হয়নি কলেজটিতে। মাস্টাররোলে কর্মরত ও ধারকর্য করে আনা কর্মচারীদের দিয়েই চলছে কার্যক্রম। কলেজটিতে বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে ৮৫টি। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৩১ জন। কর্মচারীদের সবাই চুক্তিভিত্তিক। স্থায়ী নিয়োগ পাননি কেউই।

শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পর প্রায় এক দশক এখানে শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত কোনো শিক্ষক ছাড়াই। গত বছরই প্রথম স্থায়ী ভিত্তিতে ১৮ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয়। এখনো শিক্ষক পদ শূন্য রয়ে গেছে ২০টি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য কোনো নীতিমালা নেই। সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিও নির্মাণ হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। ফলে আলাদা নীতিমালা তৈরি করে এখানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে দীর্ঘ সময় লেগে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আগে তো এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। একজনও স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন না। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ১৮ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। তারা কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে নাকি বাইরে থেকে কাউকে এনে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেবে, সেটা তাদের বিবেচনার বিষয়। পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার।

এছাড়া নামে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলেও এখানকার ল্যাব সুবিধাও বেশ অপ্রতুল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার ল্যাব তৈরির জন্য কলেজ প্রতিষ্ঠাকালেই ক্রয় করা হয়েছিল ২৯২টি কম্পিউটার। শিক্ষক আর প্রশিক্ষকের অভাবে দীর্ঘদিন অব্যবহূত অবস্থায় ছিল কম্পিউটার ল্যাব। ফলে অনেক কম্পিউটারই নষ্ট হয়ে পড়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কলেজের কোনো পরিবহন সুবিধাও নেই।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0079379081726074