অধ্যক্ষকে ঘুষ না দেয়ায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ৩য় শিক্ষকের এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে এ অভিযোগ করেন রাজধানীর কাফরুলের ঢাকা মডেল কলেজের প্রভাষক মো. ফেরদৌস হাসান মিলন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলেজটির তৎকালীন অধ্যক্ষ আসিফা সুলতানার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে অধিদপ্তর।
জানা গেছে, কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হালিমা খাতুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। তখন থেকে শুরু হয় জটিলতা। অভিযোগে প্রভাষক মিলন দাবি করেন, হালিমা খাতুন মারা যাওয়ার পর তিনি শূন্য পদে এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। গভর্নিং বডির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার আবেদন অগ্রায়ণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ আসিফা সুলতানা রেজুলেশনে না লিখে ফেরদৌস হাসান মিলনের কাছে ঘুষ দাবি করেন। মিলন ঘুষ না দেয়ায় অধ্যক্ষ ৩য় শিক্ষক মো. অহেদ আলীর এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করেন।
প্রভাষক মিলনের করা অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা মো. আল আমিনকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে এ কর্মকর্তাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন অধ্যক্ষ আসিফা সুলতানা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, মিলন সাহেব চাকরিতে ৪ বছর অনিয়মিত ছিলেন। তিনি ৪ বছর অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। কিন্তু অহেদ আলী নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তাই গভর্নিং বডির সভায় অহেদ আলীকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মিলন এমপিওভুক্তির চেষ্টা করছেন। বর্তমান অধ্যক্ষ সৈয়দ আবু আবদুল্লাহ বিষয়টি জানেন।