রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি এখনও। সিসি ক্যামেরায় যাদের চেহারা দেখা গেছে তাদের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার না হওয়ায় শঙ্কা জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ বলছেন, প্রশাসনের নমনীয় আচরণের কারণেই ক্যাম্পাসে বেপরোয়া ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীর।
শ্রেণিকক্ষে নেই উপস্থিতি তবুও চাই পরীক্ষার অনুমতি। সেই সুযোগ না পেয়ে রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার হলেও, এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে সরাসরি জড়িতরা।
রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অপরাধীরা গা ঢাকা দিলেও তাদের ধরতে চলছে সাড়াশি অভিযান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, জড়িতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং বেশিরভাগই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী। আর মূল অভিযুক্তরা আটক না হওয়ায় শঙ্কা জানিয়েছেন শিক্ষকরাও।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নমনীয় আচরণের কারণেই বারবার ঘটছে এমন ঘটনা।
এদিকে এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কল্যাণ কুমার জয় বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় নেবে না সংগঠন। অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি বন্ধ করে সঠিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা করতে না পারলে এমন ঘটনা থামানো অসম্ভব।