সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে যোগদানে বাধা দেয়া হচ্ছে। কলেজের প্রধান ফটকে নিয়োগ করা হয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। ফলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, হাইকোর্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল করার আদেশটি থোড়াই কেয়ার করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এক চিঠিতে অধ্যক্ষ মাহবুবকে যোগদান করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিলেও তিনিও তুচ্ছ অজুহাতে চিঠি ও স্মারক সংশোধনের কথা বলে যোগদান করাচ্ছেন না। আর এই কালক্ষেপণের সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডল নতুন করে ষড়যন্ত্রের ছক কষছেন। তিনি উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করে ফলাফল না পেয়ে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছেন। তাদের দিয়ে করাচ্ছেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডল তার নিয়োজিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন।
কলেজ ক্যাম্পাসে আসলে তাকে হত্যা করা হবে বলেও অপরিচিত মোবাইল থেকে শাসানো হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান হুমকিদাতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন, যার নং ১২৫৪/১৯। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে অক্টোবর বিধি বহির্ভূতভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। দীর্ঘ ৫ বছর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ১১ই ফেব্রয়ারি ২০১৯ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের ১০৩২/১৬ রিট পিটিশনের ভিত্তিতে তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল হন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবকে যোগদান করার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডলকে নির্দেশ দিলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে বাধা সৃষ্টি করছেন। সন্ত্রাসী জড়ো করে কলেজ ক্যাম্পাসে আমার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মিছিল করাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মণ্ডলের বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা জানান, অধ্যক্ষ ড. মো. মাহবুবুর রহমানের কাগজপত্রে স্মারক ও তারিখ ভুল আছে। সেটা ঠিক করে আনলেই আমি যোগদান করিয়ে নেবো।