স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল দম্পতির প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষসহ ১৪ জনকে তলব করেছে দুদক। এদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষকসহ অধ্যাপক রয়েছেন ১২ জন। এসব কর্মকর্তাকে ১ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যায়ক্রমে ডাকা হয়েছে। তাদের তলবের বিষয়টি দুদকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও অবহিত করা হয়েছে।
টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগে যাদের তলব করেছে দুদক তারা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মায়েনু, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ, হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবুল বরকত মুহাম্মদ আদনান, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শহিদুল হক, এনাটমি বিভাগের প্রভাষক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, স্টোরকিপার আবু জায়েদ, হিসাবরক্ষক হুররমা আকতার খুকি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. আবদুর রশিদ।
আবজাল দম্পতির মালিকানাধীন রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ নানা খাতে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের তলব করা হয়। রোববার (২৪ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সামসুল আলমের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে তাদের তলব করা হয়।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, আমরা ধারণা করছি আবজাল দম্পতি দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু এর সপক্ষে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ কারণে আমরা এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে চিঠি লিখেছি। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আবজাল দম্পতির সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার (হিসাব ফ্রিজ) পরও কীভাবে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন, সে বিষয়টিও অনুসন্ধানের আওতায় নেয়া হয়েছে।