সাঁতার না জানলে রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদউদ্দিন আহম্মেদের প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল বলে মন্তব্য করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনা তদন্তে কারিগরি অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক এস এম ফেরদৌস আলম মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব এসএম ফেরদৌস আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পুকুরের গভীরতা আমরা মেপে দেখেছি ১২ থেকে ১৫ ফিট গভীর। পুকুরের মাঝখানে গভীরতা আরও বেশি। সেখান থেকে বলা যায়, যদি অধ্যক্ষ সাঁতার না জানতেন তাহলে বিপজ্জনক কিছু বা প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল।
জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত রোববার সন্ধ্যায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পৌঁছায়। পরে তারা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পুকুরের পানির গভীরতাও পরিমাপ করেছেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটের ১১১৯ নম্বর কক্ষে অবস্থিত ছাত্রলীগের টর্চার সেলও পরিদর্শন করেছেন।
দুপুরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আরও বলেন, আমরা কয়েকটি ধাপে তদন্ত করেছি। তদন্তের স্পট পরিদর্শন করেছি, আক্রমণের ম্যানারটা জানার চেষ্টা করেছি, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, ভিকটিমের সাথে কথা বলেছি, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের লোকদের সাথে কথা বলেছি, তাদের সেন্টিমেন্ট জানার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভালো একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। তারপর মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুকুরে ফেলার ঘটনার মামলায় এই পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গত রোববার ৫ জনসহ এবং সোমবার আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
যদিও প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সিসি ক্যামেরায় যাদের চেহারা দেখা গেছে তাদের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন তারা। ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী গ্রেফতার না হওয়ায় শঙ্কিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।