বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও পরে গর্ভের ভ্রূণ নষ্টের অভিযোগে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক খণ্ডকালীন স্বাস্থ্যকর্মী। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেফতারে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ওই নারী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, তিনি বাকেরগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের মাছুয়াখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন খণ্ডকালীন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে একই উপজেলার কবাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালায়। এর পরে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
ওই সময় সে তার পূর্বের বিয়ে ও সন্তানের কথা গোপন করে। এক পর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পরলে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে তাকে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে তার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করে। এর পরে বিয়ের চাপ দিলে অধ্যক্ষ তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই বিষয়ে প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। পরে মামলা নিলেও সেখানে ভ্রূণ নষ্টের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি এখন আসামিকে না গ্রেফতার করে গড়িমসি করছে পুলিশ। এই অবস্থায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ওই নারী।