পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের জন্য আদালতে মামলা করা হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগপ্রত্যাশী রশিদুল ইসলাম গত বুধবার মামলাটি করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে শূন্যপদে একজন করে নিরাপত্তাকর্মী ও নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এর আলোকে নিরাপত্তাকর্মী পদে সাতজন এবং নৈশপ্রহরী পদে পাঁচজন প্রার্থী দরখাস্ত জমা দেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যোগসাজশে নিরাপত্তাকর্মী পদে ইমরান হোসেনকে এবং নৈশপ্রহরী পদে আসাদুজ্জামানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়া হয়। এ জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর নামমাত্র পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। নিয়োগটি সম্পূর্ণরূপে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সমাপ্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বেশির ভাগ সময়ই অযোগ্যদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সভাপতি জিল্লুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে নিজ পরিবারের দুজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাকুড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান বলেন, ‘দুজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। টাকা নিয়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার খবরটি অসত্য।’
নিয়োগ কমিটির সদস্য ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, মামলার বিষয়ে কোনো কাগজ হাতে পাননি।