এ পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন, যারা নিজেদের শুভকর্ম ও সৃজনশীলতা দিয়ে মানুষের কল্যাণে, সভ্যতার বিকাশে প্রোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এমন সব মানুষদের অংশগ্রহণেই তৈরি হয়েছে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুন্দর এক মানবসমাজ। বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা, মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রসারে অগ্রসৈনিক; বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বিদ্যাব্রতী তেমনই একজন মানুষ অধ্যাপক ড. অজয় রায়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সংগ্রামে অংশগ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেল তথা পেশাজীবী-সংস্কৃতিসেবী-সামাজিক শক্তিসমূহের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে আত্মনিবেদিত নির্মোহ এই মানুষটি অসাম্প্রদায়িক বাংলার অন্যতম বিবেক বলে পরিচিত। শুক্রবার (১৩ মার্চ) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, অজয় রায় ১৯৩৬ সালের ১২ মার্চ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা কিরণ বালা রায় ছিলেন বিহারের বিখ্যাত জমিদার চুর্লি এস্টেটের জমিদার-নন্দিনী এবং পিতা অ্যাডভোকেট অতুল চন্দ্র রায় ছিলেন দিনাজপুরের খ্যাতনামা আইনজ্ঞ। অজয় রায়ের শৈশব ও শিক্ষাজীবন কাটে দিনাজপুর ও কলকাতায়। দিনাজপুর বড়বন্দর পাঠশালায় এবং স্থানীয় দিনাজপুর জুবিলি স্কুলে মাইনর পাঠ সম্পন্ন করেন মাসিক ৬ টাকা বৃত্তি নিয়ে।
এরপর মহারাজা গিরিজানাথ হাই ইংলিশ স্কুলে সপ্তম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ১৯৫১ সালে সেই স্কুল থেকেই কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে আইএসসি পাশ করে চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকা হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে তিনি পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন যথাক্রমে ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে। ১৯৬০ সালে অজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। এর পরপরই ১৯৬২ সালে কুমিল্লা শহরের খ্যাতিমান অ্যাডভোকেট প্রয়াত শশীভূষণ রায়ের কন্যা শেফালী রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৬৩ সালের অক্টোবর মাসে বিলেতে উচ্চতর অধ্যয়ন ও গবেষণার লক্ষ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ফিজিক্স ফ্যাকালটিতে। এখানে ‘কঠিনাবস্থায় বিকিরণ রসায়ন’ নিয়ে দীর্ঘ তিন-চার বছর কাজ করেন। গবেষণা পদ্ধতি হিসেবে ইলেক্ট্রন স্পিন অনুনাদ বর্ণালীবীক্ষণ ও মাইক্রোতরঙ্গ বর্ণালীবীক্ষণ ব্যবহার করেন। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টর অব ফিলোসফি’ ডিগ্রি লাভ করেন। এখানে ডক্টরেট ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা শেষ করে তিনি ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রিডার হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। এসময় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত কঠিনাবস্থার পদার্থবিদ্যা ও ক্রিস্টালোগ্রাফির একটি কেন্দ্র স্থাপনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
অজয় রায়ের বিজ্ঞান গবেষণার সূত্রপাত ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে এমএসসি ক্লাসে থিসিস গ্রুপের ছাত্র হিসেবে। এ সময় তিনি ইলেক্ট্রনিক্স বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ক্ষীণ তীব্রতার আলোকরশ্মির উদ্ঘাটনের জন্য একটি আলোক বিবর্ধক টিউবের ইলেকট্রনিক বর্তনীর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন। থিসিসের শিরোনাম ছিল- ‘ডেভেলপমেন্ট অব এ ফোটোমাল্টিপ্লাইয়ার টিউব সার্কিট ফর দ্য ডিটেকশন অব উইক লাইট র্যাডিয়েশন’। তার গবেষণার তত্ত্বাবধানে ছিলেন পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানী ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশলী অধ্যাপক এম ইন্নাস আলী। এরপর ১৯৬২-৬৩ সাল সময়কালে বিলেতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্কুল অব কেমেস্ট্রি’র অধীনে ‘ভৌত রসায়ন ও রসায়ন পদার্থবিদ্যা’ বিভাগে বিকিরণ রসায়ন বিদ্যায় ‘ইলেকট্রন ঘূর্ণন অনুনাদ বর্ণালীবীক্ষণ’-এর প্রয়োগ ও বিভিন্ন ‘মুক্ত র্যাডিক্যাল’ অনুশীলন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
তার সেই গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল ‘বিশেষ দিকভঙ্গিতে থাকা মুক্ত র্যাডিক্যালসমূহের ইলেকট্রন ঘূর্ণন অনুনাদ অধ্যয়ন।’ তার গবেষণার তত্ত্বাবধানে ছিলেন খ্যাতিমান ভৌত রসায়নবিদ এবং বিকিরণ রসায়নবিদ অধ্যাপক স্যার এফএস ডেইন্টন এফআরএস এবং নামকরা রসায়ন বর্ণালীবিদ ও রাসায়নিক ও রাসায়নিক ইলেকট্রন ঘূর্ণন অনুনাদ বর্ণালীবিদ অধ্যাপক পিটার বি এইস্কফ। তার পিএইচ ডি পরীক্ষক ছিলেন বিকিরণ পদার্থবিদ ও ইলেকট্রন প্যারাচৌম্বক এবং নিউক্লিয় চৌম্বক অনুনাদ বিষয়ে অগ্রচিন্তক ব্রিটিশ ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির অধ্যাপক ড. ডি এইচ উইফেন এবং লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব কেমেস্ট্রি’র ডিন ও রসায়ন ক্রিস্টালোগ্রাফার অধ্যাপক সি বান।
সুদীর্ঘ বিজ্ঞান গবেষণাজীবনে ড. অজয় রায় পদার্থবিদ্যার বিশেষ করে বস্তুবিজ্ঞান ও ঘনীভূত জড় পদার্থবিদ্যার বিচিত্র ক্ষেত্রে পদচারণা করেছেন। তিনি তাঁর নিজ কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে বস্তুবিজ্ঞান ও কঠিনাবস্থার পদার্থবিদ্যায় উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আধুনিক গবেষণাগার দীর্ঘ সময় ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে তার উদ্যোগে ইউনেস্কোর সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে কঠিনাবস্থার পদার্থবিদ্যা ও ক্রিস্টালোগ্রাফির একটি উন্নত গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন এবং অতিথি বিজ্ঞানী হিসেবে অবস্থান করেন।
অধ্যাপক অজয় রায়ের একাডেমিক গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা ৫৪টি। বিজ্ঞান, শিক্ষা, ইতিহাস, নৃ-তত্ত্ব, স্থাপত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার শতাধিক প্রবন্ধ রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে রয়েছে ৭টি প্রবন্ধ। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে- Concepts of Electricity and Magnetism, The Proto Bengalis: Anthropological and Sociological Analysis; বাঙালির আত্মপরিচয় : একটি পুনরাবৃত্তিক ও নৃতাত্ত্বিক আলোচনা; বিজ্ঞান ও দর্শন : জড়ের সন্ধানে; আদি বাঙালি : নৃতাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ; স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি; বিশ্বাস ও বিজ্ঞান; অতিশাব্দিক বিশ্বায়ন ও মৌলিক পদার্থবিদ্যা; রবীন্দ্রনাথ ও উপনিষদ ইত্যাদি। তিনি বাংলা একাডেমি থেকে পাঁচ খণ্ডে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিশ্বকোষের অন্যতম লেখক ও সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বেশকিছু পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
অধ্যাপক অজয় রায় বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের অসহযোগ আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্যারামিলিটারি বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি কুমিল্লা সীমান্তে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য নিযুক্ত হন এবং কলকাতায় পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষকদের নিয়ে সংগঠিত ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সঞ্চারের লক্ষ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তুলে ধরা তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে তিনি সাহিত্যিক আহমদ ছফা, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী প্রমুখদের নিয়ে গণসাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলেন।
ড. অজয় রায় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মুক্তচিন্তার মানুষদের দুর্যোগে বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাকিস্তানের মুক্তচিন্তাবিদ ড. ইউনুস শেখ তার বিরুদ্ধে আনীত ব্ল্যাসফেমির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে যখন জেলে অন্তরীণ, তখন ড. অজয় রায় ‘ড. ইউনুস শেখ রক্ষা কমিটি’ গঠন করে তার মুক্তির জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। মুক্ত হয়ে ড. শেখ চিঠি দিয়ে অজয় রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনপরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন রোধে নেতৃত্ব দেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও তিনি ছিলেন সদাসক্রিয় এক সহযোদ্ধা। বাংলাদেশের যুক্তিবাদী ও দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরকে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আরজ আলী মাতুব্বরকে নিয়ে বাংলায় ও ইংরেজিতে তিনি একাধিক প্রবন্ধও লিখেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আপৎকালে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন তথা বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গড়ায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
অধ্যাপক অজয় রায় বিজ্ঞান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। পদার্থবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ ও ২০০১ সালে নোবেল কমিটি ড. অজয় রায়কে ওই দুই সালে পদার্থবিজ্ঞানে সম্ভাব্য পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য পদার্থবিজ্ঞানীদের নাম প্রেরণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন। এছাড়া শিক্ষা, গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য তিনি নানাভাবে সম্মানিত হয়েছেন।
তিনি ইতিহাস পরিষদ, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো। পেয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আজীবন সম্মাননা। আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তচিন্তার এই বিনয়ী মানুষটিকেই কিনা জীবনের শেষ অধ্যায়ে বহন করতে হয়েছে পুত্র হারানোর মর্মান্তিক শোক-ভার। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ধর্মান্ধ জঙ্গি অপশক্তির হাতে তার জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তমনা বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক অভিজিৎ রায় খুন হন। আত্মশক্তিতে বলীয়ান আজীবন উন্নত শিরের এই মানুষটি পুত্র হারানোর শোকে ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে যাচ্ছিলেন। বাইরে থেকে কাউকে তা বুঝতে দেননি। ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর পুত্রহত্যার বিচার না দেখেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন এই কর্মবীর। তার কর্মময় স্মৃতির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা।
লেখক : জয়ন্তী রায়।