নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদকে নিউজিল্যান্ডে সমাহিত করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। রোববার (১৭ মার্চ) স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত ড.সামাদের বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ।
তোহা মোহাম্মদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে আমার মা ও ছোট ভাই নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে বাবার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বাবার লাশ শনাক্ত করেছে। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে তারা লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ আমার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে। লাশ দাফনের বিষয়ে ড.সামাদের ঢাকায় বসবাসরত বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ বলেন, আগামীকাল লাশ পাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির কবরস্থানেই বাবাকে দাফন করা হবে। আমার মা ও ভাইয়েরা সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। তবে তিনি অচিরেই ভিসা সম্পন্ন করে নিজেও নিউজিল্যান্ডে মা ও ভাইদের সাথে সাক্ষাত করতে যাবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, নিহত ড. সামাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের পুত্র। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে ড. সামাদ সবার বড়। গত কয়েক বছর ধরে দুই ছেলে তারেক মোহাম্মদ ও তানভির মোহাম্মদ এবং স্ত্রী কিশোয়ারা সুলতানাকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ বাংলাদেশেই একটি বেসরকারি চাকরি করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়মনসিংহের কৃষি অনুষদের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপনা ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে যান এবং সেখানে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ নিউজিল্যান্ডেই স্থায়ীভবে বসবাস করছিলেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার জুমআর নামাযে সন্ত্রাসীর গুলিতে তিনি নিহত হন।