অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার সুখবর নিয়েই বিশ্বকাপ যাত্রা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সুখবর যে মানুষকে কতটা এগিয়ে দিতে পারে তার প্রমাণ দিলেন তিনি। ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে রানের বন্যা ছোটালেন। বল হাতে ঘায়েল করলেন একের পর এক প্রতিপক্ষকে।
সাকিব আল হাসান এবারের বিশ্বকাপে নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন, টুর্নামেন্ট সেরার প্রশ্নে তার প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পেতেই মুশকিলে পড়বে আইসিসি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি ছিল কেবল মাহমুদুল্লাহর। এবার সাকিব আল হাসান সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন। দুই সেঞ্চুরিতে (১২৪ ও ১২১) সাকিবের সংগ্রহ ৩৮৪। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। বল হাতেও শিকার করেছেন ৫টি উইকেট। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার জন্য সাকিব আল হাসানই এখন সবচেয়ে উপযুক্ত পাত্র।
বিশ্বকাপের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের তালিকায় ৫৬১.২ পয়েন্ট নিয়ে সাকিব সবার ওপরে। দুইয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ (৪৯৯.২ পয়েন্ট)।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার অবশ্য আরও একটা দারুণ কীর্তি গড়েছেন। ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ডাবল অর্জনে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। এই মাইলফলকে পৌঁছতে সাকিবের প্রয়োজন পড়েছে কেবল ২০২ ম্যাচের।
এই তালিকায় আছেন কেবল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়া। শহীদ আফ্রিদির এই মাইলফলকে পৌঁছতে লেগেছিল ২৯৪ ম্যাচ। জ্যাক ক্যালিস ২৯৬ এবং জয়সুরিয়া ৩০৪ ম্যাচ খেলেছিলেন এই মাইলফলকে যেতে। সাকিব আল হাসান অলরাউন্ডার হিসেবে ইতিহাসের অন্যতম সেরা হয়ে গেলেন ৩২ বছরেই।