অনলাইন ক্লাসের সাত সতেরো - দৈনিকশিক্ষা

অনলাইন ক্লাসের সাত সতেরো

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

করোনার সংক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সারা বিশ্বের মতো আমরাও আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে ক্লাস নেবার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে শুরুতেই পদে পদে হোঁচট খেয়ে চলেছি আমরা। কেমন করে ক্লাস হবে, শিক্ষকরা কীভাবে ক্লাস নেবেন, ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে এতে অংশ নেবে, ইন্টারনেটের কি হবে, টিভিতে ক্লাস হবে নাকি ইন্টারনেটে ক্লাস হবে এমন হাজারো প্রশ্ন সর্বত্র ঘোরপাক খাচ্ছে। এরই মাঝে অনেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু করেছেন। সংসদ টিভির মাধ্যমে টিভিকে ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাসের সূচনা হয়। তবে এখন জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন বা গ্রামেও অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। আলোচনা চলছে রেডিও-কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করে ক্লাস করা যায় কিনা। এমনকি সব পর্যায়ের অনলাইনে ক্লাসের একটি সমন্বিত রূপদানের জন্যও চেষ্টা চলছে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, এটুআই, টেলিকম সংস্থা, বিটিআরসি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সমন্বিতভাবে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

উপ-সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, বির্তমানে চলমান ক্লাসের গুণগত মান বা এর প্রভাব বা অর্জন নিয়ে গবেষণার অনেক সময় পাওয়া যাবে। আপাতত এই সূচনাটিকেই স্বাগত জানানোটা আমাদের দিক থেকে বড় পাওনা।

এই সব অনলাইন ক্লাসের জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দেখা দিয়েছে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস। ইন্টারনেট পাবার দুটো উপায় আছে। একটি হলো আইএসপিদের দেয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। অন্যটি হলো মোবাইল ইন্টারনেট। ডিজিটাল ডিভাইসও অন্তত তিন রকমের হতে পারে। প্রথমত কম্পিউটার যা ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ হতে পারে, ট্যাবলেট যা ল্যাপটপের ছোট সংস্করণ এবং ল্যাপটপ-মোবাইলের মিশ্রণ এবং তৃতীয়টি হলো স্মার্ট ফোন। আমরা এখনও জানি না অনলাইন ক্লাস নিয়ে প্রতিদিন যত প্রশ্নের জন্ম নিচ্ছে তার জবাব বা সমাধান আমরা কেমন করে কতদিনে পাব। মনে হচ্ছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটি নিয়েই নতুন করে ভাবার সময় হয়েছে। নিবন্ধটি যেদিন প্রথম লিখি সেদিন দুটি পত্রিকার খবর পেলাম অনলাইন বিষয়ে। ক) ২৫ জুলাই এর দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় জনাব মহিউদ্দিন আলমগীর এর নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে মাহমুদা খাতুনকে তার মনিপুর স্কুলে পড়–য়া সন্তানের জন্য মাসে বাড়তি ৭০০ টাকার ইন্টারনেট কিনতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় ৩ হাজার টাকা দিয়ে তাকে রাউটারও কিনতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিনা ইসলাম বন্যাকে প্রতি দুদিন ক্লাসের জন্য ১১৪ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। মুহম্মদপুর সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক জানিয়েছেন তাকে ব্রডব্যান্ড কানেকসন নেবার পাশাপাশি হুয়াইট বোর্ড ও মার্কার কিনতে হয়েছে। ফেসবুকের একটি ছবি আমাকে আবেগাপ্লুত করেছিল। ছবিতে একজন শিক্ষক তার মোবাইল ফোনটা দড়ি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ক্লাস নিচ্ছিলেন। পত্রিকার পাতায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে একটি প্রতিষ্ঠান সেই ছবি দেখে মোবাইল ফোন ও স্ট্যান্ড দান করেছে।

আমাদের দেশি পত্রিকাতেই ভারতের হিমাচল প্রদেশের জ্বলামুখী এলাকার এক কৃষক বাবা-মা সন্তানের অনলাইন ক্লাস করার টাকা যোগাতে গরু বিক্রি করে দিয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আমরা যখন এসব বিষয় নিয়ে নানাবিধ আলোচনা করছি তখন আলোচনার কেন্দ্র আবর্তিত হয়েছে আন্দাজে পাওয়া তথ্যেও ওপর। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোন স্তরে অনলাইন ক্লাসের কি অবস্থা তা জানি না। এরই মাঝে আমার হাতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জরিপ আসে। এক সময়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে কাজ করতেন এবং এখন অবসরপ্রাপ্ত আতাউর রহমান সাহেব সেই জরিপটির কপি আমাকে প্রদান করেন। আমি তার কাছ থেকে জরিপটি প্রকাশ করার অনুমতি নিয়েছি। আমার নিজের কাছে তথ্যগুলো খুবই মজাদার মনে হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের জরিপের সারসংক্ষেপ

চুয়েটে চলমান সেশনে নিবন্ধিত মোট শিক্ষার্থী : ২৩৯১, জরিপে উপস্থিত: ২০৯৭ (স্বতন্ত্র ডাটার ভিক্তিতে), ডেটা নেয়া হয়েছে ৩০ মে ২০২০ সময় বিকাল ৩টা। জরিপে উপস্থিতির মোট হার ৮৭.৭০%। শিক্ষার্থীদের জরিপে তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তাদের কাছে কি ধরনের ইন্টারনেট রয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ২৩.৮৮ ভাগ জানিয়েছে যে তাদের কাছে ওয়াইফাই আছে। মাত্র ০.৫১ ভাগ জানিয়েছে যে তাদের কাছে ওয়াইফাই ও ল্যান রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে শতকরা ৬৭.৯২ ভাগ ছাত্রছাত্রীর হাতে। কোন ধরনের ইন্টারনেট নেই শতকরা ৩ ভাগের হাতে। অন্যদিকে ওয়াইফাই এবং মোবাইল ইন্টারনেট রয়েছে শতকরা ৩.৮৬ ভাগের হাতে। জরিপে মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তরদানকারীরা জানায় যে ১৯.৬৫ ভাগের কাছে ২জি, ৫২.৭৪ ভাগের কাছে ৩জি ও ১৯.৯৬ ভাগের কাছে পৌঁছায় ৪জি। জরিপে জানা গেছে যে শতকরা ৩.৪১ ভাগের কাছে ইন্টারনেট সহজে ক্রয়যোগ্য। শতকরা ১৭.৫৭ ভাগ এটি কিনতে পারে এবং কিনতে চাপ সৃষ্টি হয় শতকরা ৫৩, ৬২ ভাগের। ২০.৯৮ ভাগ বলেছে যে তাদের কাছে ইন্টারনেট ক্রয়যোগ্য নয়। ৪.৮৯ ভাগের মতে মোবাইল অপারেটরের মাধ্য্যমে এক্সেস করা যায়নি।

চুয়েটের জরিপে ডিভাইস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন ছিল আপনি কোন ধরনের ডিভাইসের মালিক। জবাব এসেছে যে ১৩.৩৯ ভাগ ল্যাপটপের মালিক, ডেস্কটপ এবং ট্যাবলেট ১.২২ ভাগ, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন আছে ২৪.৮৫ ভাগের। স্মার্টফোন আছে ৩৯.৬১ ভাগের। একাধিক ডিভাইস আছে ২০.০৬ ভাগের। কোন ডিভাইস নাই ০.৮৭ ভাগের।

ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তারা কোন ধরনের কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। জবাবে বলা হয়েছে গুগল হ্যাং আউট ৪.১৮, স্কাইপে ৬.৫২, জুম ১৪.৪৬, মাইক্রোসফট টিম ০.৩৬ এবং কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি ৬২.৮৩ ভাগ।

এটি অবাক হবার বিষয় নয় যে প্রায় দুই তৃতয়িাংশ শিক্ষার্থী কোন কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে না। এর প্রধানত কারণ হচ্ছে দেশে এর প্রচলন ছিল না। করোনার আগে কদাচিৎ কেউ কোন কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। একইভাবে জরিপে জানা যায় যে শতকরা মাত্র ১৯.১৯ ভাগ শিক্ষার্থী কোন অনলাইন কোর্স করেছে এবং ৮১.০৫ ভাগ ভাগ সেটি করেনি। জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে অনলাইন কোর্স ভর্তিও জন্য প্রশিক্ষণের দরকার আছে কিনা। এর জবাবে শতকরা ৫৬.১০ ভাগ হ্যাঁ বলেছে ও ৪৩.৯০ ভাগ না বলেছে। জরিপের শেষ প্রশ্নটি ছিল যে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস চালু করা সমর্থন করে কিনা। এর জবাবে মাত্র শতকরা ৩৫.২১ ভাগ হ্যাঁ বলেছে এবং ৬৪.৮০ ভাগ না বলেছে।

চুয়েট জরিপের পাঁচটি বিষয়ে জরিপকারীরা তাদের পর্যবেক্ষণও প্রকাশ করেছে:

প্রথমত তারা ইন্টারনেটের তরঙ্গ সুবিধা নিয়ে বলেছে ক) বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ২জি এবং ৩জি স্তরের ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল, যা সরাসরি ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অতএব অনলাইন ক্লাসগুলো রেকর্ড করা যেতে পারে। এবং চুয়েট ওয়েবসাইট থেকে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য করা যেতে পারে। অনলাইন ক্লাসগুলো রেকর্ড করা যেতে পারে এবং চুয়েট ওয়েবসাইট থেকে অপলাইনে ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য করা যেতে পারে। সরকারি মালিকানাধিন টেলিটক ইন্টারনেট এক্সেসের জন্য কেবল ১৪% ব্যবহৃত হয়।

চুয়েটের আরও একটি পর্যবেক্ষণ হলো: খ) জরিপ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশ (২০) অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় পরিচালনা করতে সক্ষম। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের সাশ্রয় বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের আর্থিক বিষয় বা ডেটা সহায়তার দিকে নজর দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ইস্যুটি মন্ত্রণালয়ে আনা যেতে পারে।

চুয়েটের তৃতীয় পর্যবেক্ষণ হলো: গ) ডিভাইসবিহীন ১% এর কম শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসগুলোতে অংশ নিতে পারে যেটি প্রশাসনকে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে উৎসাহিত করে। প্রায় ৪০% শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন যা অনলাইন ক্লাসের জন্য ভালো ডিভাইস নয়। সুতরাং ল্যাপটপ কেনার জন্য লোন শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক হতে পারে।

চুয়েটের চতুর্থ পর্যবেক্ষণ হচ্ছে: ঘ) বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়ে অভিজ্ঞ নয়। সংযোগকারী ডিভাইসগুলো থেকে অনলাইন সরঞ্জাম এপ্লিকেশন এবং প্রাসঙ্গিক সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ সেশনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থা, উপকরণ, এবং স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশিক্ষণের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষা সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

চুয়েটের ৫ম পর্যবেক্ষণ হলো : ঙ) বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের ধারণা সমর্থন করে না। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ পরিস্থিতিতে প্রচেষ্টা সফল করতে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা তুলে ধরে অনুপ্রেরণামূলক প্রচারের প্রয়োজন।

চুয়েট কর্তৃপক্ষ জরিপ করার পর অনলাইন ক্লাস বিষয়ে কিছু সুপারিশ পেশ করেছে।

তাদেও প্রথম সুপারিশটি হচ্ছে যে অবিলম্বে স্নাতকোত্তর ক্লাস শুরু করা যেতে পারে। দ্বিতীয় সুপারিশটি হচ্ছে ১ম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের টার্ম ১-এর স্নাতক পর্যায়ের তত্ত্বীয় ক্লাসগুলো পর্যবেক্ষণগুলোর আলোকে শুরু করা যেতে পারে। তৃতীয় সুপারিশটি হলো : স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষা এবং স্নাতক পর্যায়ের সেসনাল ক্লাসসমূহের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। চতুর্থ সুপারিশটি হলো অনলাইন ক্লাস শুরু করার আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। পঞ্চম বা শেষ সুপারিশটি হলো অনলাইন ক্লাসের জন্য জুম এবং গুগল মিট উভয় প্ল্যাটফরম ব্যবহার করা যেতে পারে।

পুরো জরিপের তথ্যাদি পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ থেকে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধান করা জরুরি হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দুই তৃতীয়াংশ অনলাইন ক্লাস করতেই ইচ্ছুক নন। অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ক্রয় করার ক্ষেত্রে চাপ অনুভব করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শতকরা মাত্র ১৪ ভাগের কাছে ৪জি পৌঁছানোটা উদ্বেগজনক। ডিভাইসের সংকটটি যে কোনভাবেই হোক মেটাতে হবে।

আমার নিজের কাছে মনে হচ্ছে আরও দুটি বিষয় আলোচনায় আসা উচিত। প্রথমত যারা অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার স্তর কোনটি। দ্বিতীয়ত প্রচলিত ধারার চক ডাস্টারের অনলাইন ক্লাস কি এই জাতির শিক্ষার ভবিষ্যৎ নাকি এই জাতির শিক্ষাকে ডিজিটাল করার জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি যদি পাঠক্রম এবং পাঠদান পদ্ধতির কথা আলোচনায় নাও আনি তবুও ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাকারী দেশের শিক্ষা এনালগ যুগের বা প্রথম শিল্প বিপ্লবের যুগের থাকবে সেটি কারও প্রত্যাশিত নয়। চুয়েটের জরিপটি জাতীয় জরিপের একটি ভিত্তি হতে পারে। এই জরিপটি উচ্চশিক্ষার ফলে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের সঙ্গে এর কোন মিলই পাওয়া যাবে না। আসুন আমরা ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলি।

ঢাকা। ১ আগস্ট, ২০২০।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

লেখক : মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কিবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042588710784912